পাট - রচনা ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণি
সূচনা:
পাট একটি অর্থকরী ফসল। বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের মধ্যে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে পাটকে আমরা সোনালি আঁশ বলে থাকি ।
পাটের বৈশিষ্ট্য:
পাটগাছ একটি তৃণজাতীয় উদ্ভিদ। এটি দেখতে লম্বা কাঠির মতো । এগুলো প্রায় পাঁচ থেকে দশ হাত পর্যন্ত লম্বা হয় । বাংলাদেশে খুব উৎকৃষ্ট মানের পাট জন্মে। ঢাকা, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, পাবনা, রংপুর ও রাজশাহীতে পাটের উৎপাদন বেশি হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও মিশরে এর চাষ হয় ।
প্রকারভেদ ও চাষপ্রণালি:
দেশি, তোষা ও মেস্তা এই তিন ধরনের পার্ট আমাদের দেশে হয়ে থাকে। দেশি পাটের আঁশ সাদা, তোষা পাটের আঁশ লালচে এবং মেস্তা পাটের আঁশ অপেক্ষাকৃত মোটা হয়ে থাকে। পাট চাষের জন্য উষ্ণ জলবায়ু ও প্রচুর বৃষ্টিপাত দরকার হয়। ফাল্গুন ও চৈত্র মাস পাট বোনার উপযুক্ত সময়।
শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে পাটগাছ কেটে ছোট ছোট আঁটি বাঁধা হয়। আঁটিগুলো খালবিল বা পুকুরের পানির নিচে কিছুদিন ভিজিয়ে রাখতে হয়। পাটগাছ পচে নরম হলে শরীর থেকে আঁশগুলো ছাড়ানো হয়। এরপর তা ধুয়ে রোদে শুকাতে হয়। সেই পরিষ্কার শুকনো আঁশকে পাট এবং পাটের ভেতরের কাঠিকে পাটকাঠি বলে ।