February 12, 2024

চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান- বাংলা প্রবন্ধ রচনা 

ভূমিকা :-

আধুনিক বিশ্বসভ্যতার ক্রমবিকাশে বিজ্ঞানের দান অপরিসীম। বর্তমান সভ্যতার অগ্রগতিতে চিকিৎসাক্ষেত্রে বিজ্ঞান এক নতুন আশীর্বাদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। একসময়ে যেসব দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মানুষের মুক্তির কোনো উপায় ছিল না, বিজ্ঞান বর্তমানে সেসব ব্যাধি থেকে মুক্তির উপায় উদ্ভাবন করেছে।

আধুনিক চিকিৎসার সূত্রপাত :-

আধুনিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কারের ফলে চিকিৎসাক্ষেত্রে মানুষের ধ্যান-ধারণায় পরিবর্তন এসেছে। বিজ্ঞানের বদৌলতে প্রাচীন পদ্ধতির কবিরাজি চিকিৎসার স্থলে হোমিওপ্যাথিক ও অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার উদ্ভব হয়েছে।

পেনিসিলিন, ক্লোরোমাইসিন, স্টেপটোমাইসিন ইত্যাদি ওষুধ আবিষ্কারের ফলে মানুষ গাছগাছালি, তাবিজ-কবচ ও ঝাড়ফুঁকের মতো কুসংস্কারের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দিয়ে আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। এসব চিকিৎসাব্যবস্থা "আধুনিক বিজ্ঞানেরই বিস্ময়কর অবদান ।

বিশ শতক ও চিকিৎসাবিজ্ঞান :-

বর্তমান চিকিৎসাশাস্ত্র পুরোপুরি বিজ্ঞানের ওপর নির্ভরশীল। বিংশ শতাব্দীতে চিকিৎসাক্ষেত্রে বিজ্ঞান অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। ১৯০৩ সালে আবিষ্কৃত হয় জিনের গঠন প্রণালি, ইসিজি মেশিন এবং মরণব্যাধি ক্যান্সার চিকিৎসার রেডিওথেরাপি, ১৯২৮ সালে আবিষ্কৃত হয় পেনিসিলিন।

১৯৪৩ সালে আবিষ্কৃত হয় কিডনি ডায়ালাইসিস মেশিন, ১৯৭৮ সালে আবিষ্কৃত হয় টেস্টটিউব প্রজনন পদ্ধতি এবং ১৯৯৭ সালে আবিষ্কৃত হয় ক্লোন পদ্ধতি। বিজ্ঞানের এসব আবিষ্কারের ফলে চিকিৎসাক্ষেত্রে এসেছে অভাবনীয় উন্নতি।

আরও পড়ুন