March 17

প্যারেনকাইমা টিস্যুর সংজ্ঞা, গঠন, অবস্থান, বৈশিষ্ট্য ও কাজ 

সংজ্ঞা :- যে সকল স্থায়ী টিস্যু সেলুলোজ নির্মিত পাতলা কোষপ্রাচীরযুক্ত সজীব কোষের সমন্বয়ে গঠিত হয় তাকে প্যারেনকাইমা টিস্যু (Parenchyma tissue) বলে।

প্যারেনকাইমা টিস্যুর গঠন :-

(১) প্যারেনকাইমা টিস্যুর কোষগুলো প্রায় সমব্যাসবিশিষ্ট এবং জীবিত।

(২) কোষগুলোর আকৃতি গোলাকার, ডিম্বাকার কিংবা বহুতলাকার প্রভৃতি নানা আকারের।

(৩) কোষপ্রাচীর পাতলা সেলুলোজ দ্বারা গঠিত। অনেক সময় কোষপ্রাচীর স্থুল হয় এবং গাত্রে প্রাথমিক কৃপক্ষেত্র দেখা যায়। যেমন- জাইলেম প্যারেনকাইমা কোষ ।

(৪) প্যারেনকাইমা কোষের প্রোটোপ্লাজম অপেক্ষাকৃত ঘন এবং ক্ষুদ্র কোষরন্ধ্র থাকে । সবুজ উদ্ভিদের প্যারেনকাইমাতে ক্লোরোপ্লাস্টিড থাকে ।

(৫) বিভিন্ন প্রকার পদার্থ যেমন- তেল, ট্যানিন, খনিজ কেলাস প্রভৃতি যখন প্যারেনকাইমা কোষে সঞ্চিত থাকে, তখন কোষকে আইডিওব্লাস্ট' কোষ বলে।

(৬) পরস্পর সংযুক্ত কোষগুলোর মাঝখানে সকল সময়ই কিছু কিছু ফাঁক থাকে, এদের ইন্টারসেলুলার স্পেসেস বা কোষান্তরবর্তী শূন্যস্থান বা কোষান্তর রন্ধ্র বলে ।

(৭) প্যারেনকাইমা কোষে যখন ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে তখন তাকে ক্লোরেনকাইমা বলে ।

(৮) প্যারেনকাইমা কোষ যখন সুস্পষ্ট বিরাট কোষান্তরবর্তী শূন্যস্থান বা কোষান্তর রন্ধ্র থাকে তখন তাকে এরেনকাইমা বলে। এরেনকাইমার আকৃতি বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। যেমন-কলাপাতা, শালুক, কেশরদাম, কচু, ওল, সর্বজয়া প্রভৃতির পত্রের বৃত্তে এদের দেখতে পাওয়া যায় ।

আরও পড়ুন