চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রোযার ১৬ টি উপকারিতা - বিস্তারিত
আজ থেকে প্রায় ১৫০০ বছর পূর্বে রাসূল (স) রোযা রাখার উপকারিতা বর্ণনায় বৈজ্ঞানিক তথ্য দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন - صوموا تصحوا অর্থাৎ, তোমরা রোযা রাখ তাহলে সুস্থ থাকবে। আজকের আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানও এটা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে।
👉নিম্নে প্রশ্নালোকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রোযার কতিপয় উপকারিতা বর্ণনা করা হলো। যেমন-
১। রোযার কারণে দিনে শরীরে পানির পরিমাণ কমে যায় বলে চামড়াতেও পানির অংশ কমে যায়। ফলে ব্রনসহ যাবতীয় চর্মরোগ প্রতিরোধে রোযা ভূমিকা পালন করে ।
২। শরীরে বেশি চর্বি থাকলে হজম দেরিতে হয়। রোযা রাখলে আমাদের শরীরের পুঞ্জীভূত চর্বি থেকে শরীর মুক্ত হয়। এছাড়া রোযা কলিজার পাশে জড়ো হওয়া চর্বিগুলোকে দূরীভূত করে। ফলে হজম ও পরিপাক ক্রিয়া দ্রুত হয়।
৩। রোযা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শরীরে পরিপাক ও হজম প্রক্রিয়ায় এবং শারীরিক সুস্থতা বিধানে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। এজন্য ইউরোপে শরীরের ভিতরে জমে থাকা ৫০ হাজার কিলোক্যালরি কমানোর জন্য ৩০ দিনে গড়ে ১২ ঘণ্টা করে রোযার মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হয় ।
৪। শরীরে চর্বি জমে মেদ বাড়লে মানুষ মোটা হয়ে যায়। এর ফলে শরীরে আলঝেইমার্স নামক রোগ হয়। আর এ রোগের ফলে মানুষ জ্ঞানবুদ্ধি, স্মৃতিশক্তি ও উপস্থিত বুদ্ধি হারিয়ে ফেলে। দেখা গেছে কেউ এক সপ্তাহ রোযা রাখলে তার শরীর থেকে দু এক কেজি ওজন কমে যায়। তাই এ রোগ থেকে রক্ষা পেতে রোযার কোনো বিকল্প নেই।
৫। চিকিৎসা বিশ্বকোষে ‘খাদ্যের মাধ্যমে চিকিৎসা' অধ্যায়ে বলা হয়েছে, শারীরিক সুস্থতার জন্য বয়স বাড়ার সাথে সাথে কমপক্ষে সপ্তাহে একদিন, মাসে এক সপ্তাহ এবং বছরে একমাস রোযা রাখা উত্তম ।