কৃষিকাজে বিজ্ঞান - বাংলা রচনা ২০ পয়েন্ট
উপস্থাপনা :
আধুনিক যুগ বিজ্ঞানের যুগ। মানুষ আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নিত্য নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে সভ্যতার চরম উন্নয়ন সাধন করেছে। সভ্যতার ঊষালগ্নে মানুষ যেদিন মাটিতে বীজ বুনে ফল ও ফসল ফলাতে শুরু করল, সেদিন থেকেই ফসল উৎপাদনের কাজে নতুন পন্থার উদ্ভাবন হলো। শুরু হলো কৃষি কাজে বিজ্ঞানের প্রয়োগ। ফলে বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি ফসল উৎপাদনের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে।
কৃষি ও সভ্যতা :
কৃষি মানুষের আদিম পেশা। কৃষি কাজের মধ্য দিয়েই যাত্রা শুরু মানব সভ্যতার। সভ্যতার অগ্রযাত্রায় বিভিন্ন স্তরে মানুষ বিভিন্ন পেশা গ্রহণ করলেও খাদ্যের উৎস হিসেবে কৃষির ভুমিকা আজও গৌরবময় । দার্শনিক রুশো বলেন, “সবচেয়ে বড় এবং সর্বাধিক গৌরবমণ্ডিত শিল্প হচ্ছে কৃষি। "
কৃষির তাৎপর্য ঃ
কৃষি ও মানব জীবন ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার শ্রেষ্ঠ চাবিকাঠি হচ্ছে কৃষি । মানুষের হৃৎপিণ্ড থেকে রক্ত সঞ্চারিত হয়ে যেমন দেহ যন্ত্রকে সবল ও সচল রাখে, কৃষিও তেমনি মানুষকে যোগান দিয়ে থাকে বেঁচে থাকার অপরিহার্য উপকরণ সামগ্রী ।
বিজ্ঞানের জয়যাত্রা :
যেদিন থেকে মানুষ আগুন জ্বালাতে শেখে, যেদিন সে পাথরের অস্ত্র নিয়ে বন্য পশুর সঙ্গে যুদ্ধ আরম্ভ করেছে, যেদিন সে চাকা গড়তে পেরেছে, সেদিন থেকেই বিজ্ঞানের জয়যাত্রা শুরু হয়েছে। সেদিন মানুষ আবিষ্কার করল অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় তার ক্ষুদ্র অবয়বে সূক্ষ্ম অথচ প্রবল বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মস্তিষ্ক।
সে প্রকৃতির রহস্য ভেদ করার জন্য নব নব তত্ত্ব আবিষ্কার করল। প্রকৃতিকে আবিষ্কার করার নেশায় অস্থির হয়ে উঠল। কিছুতেই তার তৃপ্তি নেই। তাই প্রকৃতির দেয়া শস্য সম্পদে সে সন্তুষ্ট থাকতে পারে নি। আধুনিক কৃষিবিদ্যা রপ্ত করে নিজের রুচির পরিতৃপ্তি পরিপুষ্টি সাধন করছে।