January 6, 2024

কুসংস্কার : বাংলা প্রবন্ধ রচনা - Sikkhagar

ভূমিকা :

মানুষ বুদ্ধিমান প্রাণী। এ জগতে একমাত্র মানুষেরই রয়েছে জ্ঞান, বিবেক এবং বিস্ময়কর সৃজনশীল ক্ষমতা। এরই বলে মানুষ আজকের বিস্ময়কর সভ্যতা নির্মাণ করতে পেরেছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের অত্যাশ্চর্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। অতীত জীবনের অসংখ্য অন্ধবিশ্বাস ও জড়তা পরিত্যাগ করে সত্যসন্ধানী মানুষের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে, তবু আজও মানব সমাজে নানা ধরনের কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে।

সংস্কার ও কুসংস্কার :

‘সংস্কার' শব্দের দ্বিবিধ অর্থ হয়। কোনো বস্তুর জীর্ণতা, কোনো মতবাদের অপূর্ণতা দূর করে তাকে যুগোপযোগী করে তোলাকে বলা হয় 'সংস্কার'। যেমন-বাড়ি সংস্কার, রাস্তা সংস্কার, রাজনৈতিক সংস্কৃতির সংস্কার ইত্যাদি। সংস্কার শব্দের অন্য অর্থ হল 'শুদ্ধি'। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসরণ করে বিশেষ কোনো সংস্কার যদি মানুষের কল্যাণের স্থলে ক্ষতিসাধন করে, তবে তা ‘কুসংস্কার'। কুসংস্কারের পেছনে রয়েছে আবেগ ও অন্ধবিশ্বাস। কুসংস্কারের কোনোরূপ বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার :

আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার চালু রয়েছে। ধর্মীয় কুসংস্কার, সামাজিক কুসংস্কার প্রভৃতি কুসংস্কারের সাথে আমরা কমবেশি পরিচিত। যেমন-যাত্রার শুভাশুভ বিচার, তিথি, নক্ষত্রের ওপর নির্ভরশীলতা, ভাগ্য গণনা ইত্যাদি ধর্মীয় কুসংস্কার। এছাড়াও রয়েছে পেঁচার ডাক, কুকুরের কান্না, গরুর হাঁচি ইত্যাদিকে অমঙ্গলসূচক মনে করা।

বাসনপত্র হাত থেকে পড়ে গেলে মেহমান আসার সম্ভাবনা, খেতে বসে বিষম খেলে স্বজন স্মরণ করছে ভাবা, ঘর থেকে বের হবার সময় হোঁচট খাওয়াকে অশুভ চিন্তা করা ইত্যাদি সবই কুসংস্কার। এসবের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এমনকি আধ্যাত্মিক কোনো ব্যাখ্যাও কেউ দিতে পারেনি। এর সত্যতা কখনো পরিলক্ষিত হয়নি।

Read more