January 7, 2024

নারী নির্যাতন - বাংলা প্রবন্ধ রচনা

উপস্থাপনা ঃ

আজকাল পত্র-পত্রিকা খুললেই যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে, তাহল যৌতুক প্রথার বলি-নারী সমাজ। সমাজে নারীরা যত প্রকারে নির্যাতিত হচ্ছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হল যৌতুক প্রথার শিকার। আমাদের সমাজ জীবনে এক ভয়াবহ অভিশাপ হিসেবে বিরাজমান এ যৌতুক প্রথা অথচ শরৎচন্দ্র বলেন-“অর্থের বিনিময়ে যারা একজন নারীকে বিয়ে করতে সম্মত হয় সেই পুরুষ কোনদিন তার স্ত্রীকে ভালোবাসবে না-

পাত্রীর অভিভাবকদের একথাটা বুঝা উচিত।” শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে আমরণ সংগ্রাম করে গেলেও সমাজের এই 'বিষবৃক্ষ'কে সমূলে উৎপাটন করা সম্ভব হয়নি। বরং তা বেড়ে গেছে ধাপে ধাপে। এটা আমাদের জন্য সত্যি এক লজ্জাজনক ব্যাপার, মানব সভ্যতার এক কলঙ্কময় অধ্যায় ।

যৌতুকের কারণ ও উৎপত্তি :

মানুষের অর্থ লালসা থেকে যৌতুক প্রথার সৃষ্টি হয়। দারিদ্র্য বা আর্থিক দুরবস্থাও যৌতুক প্রথা সম্প্রসারিত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। হিন্দু আইনে কন্যারা পৈত্রিক সম্পত্তির অধিকারী হয় না বলে কন্যাকে অর্থাৎ তার স্বামীকে পুষিয়ে দেয়ার মানসিকতা ও চিন্তা ভাবনা থেকে পণপ্রথার সৃষ্টি। ক্রমান্বয়ে এ প্রথা বিষবৃক্ষের মত সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়ে।

প্রাচীনকালে আর্য-অনার্য রাজপরিবারের মধ্যে যৌতুক প্রথা চালু ছিলো শুল্কের আকারে । অনার্যরা সমাজে মর্যাদা পাবার জন্য আর্য পাত্রদের কাছে কন্যা সম্পাদন করতেন এবং বিনিময়ে তাদেরকে যৌতুক দান করতেন। এভাবে যৌতুক প্রথা একটি সামাজিক নিয়মে পরিণত হয়েছে।

Read more