August 29, 2023

মাইটোকন্ড্রিয়া কাকে বলে? মাইটোকন্ড্রিয়ার, গঠন, কাজ,ও গুরুত্ব  

সংজ্ঞা :- দ্বি-স্তরবিশিষ্ট আবরণী ঝিল্লি দ্বারা সীমিত সাইটোপ্লাজমস্থ যে অঙ্গাণু তে ক্রেবস চক্র, ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট প্রক্রিয়া, ফ্যাটি এসিড প্রক্রিয়া ইত্যাদি ঘটে থাকে এবং শক্তি উৎপন্ন হয় সেই অঙ্গানুকে মাইটোকন্ড্রিয়া (Mitochondria) বলে।

Table of Contents

আবিষ্কার : ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে অল্টম্যান ( Altman ) মাইটোকন্ড্রিয়ন এর উপস্থিতি লক্ষ্য করেন। কিন্তু ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে বেন্ডা (Benda) মাইটোকন্ড্রিয়ন এর নামকরণ করেন।

আকার ও আয়তন : আকার ভেদে মাইটোকন্ড্রিয়ার আয়তন বিভিন্ন রকম। বৃত্তাকার মাইটোকন্ড্রিয়ন এর ব্যাস ০.২ মাইক্রন থেকে ২ মাইক্রন। দন্ডাকার মাইটোকন্ড্রিয়ার দৈর্ঘ্য ৭০ মাইক্রন পর্যন্ত হতে পারে।

সংখ্যা : কোষ ভেদে মাইটোকন্ড্রিয়ার সংখ্যা বিভিন্ন রকম। ব্যাকটেরিয়া ও নীলাভ সবুজ শৈবালে মাইটোকন্ড্রিয়ন দেখা যায় না। কোন কোন শৈবালের প্রতি কোষে মাত্র ১টি মাইটোকন্ড্রিয়া থাকে । সাধারণত উদ্ভিদের প্রতি কোষে মাইটোকন্ড্রিয়ার সংখ্যা ৩০০ থেকে ৪০০টি। প্রাণির যকৃত কোষে সহস্রাধিক মাইটোকন্ড্রিয়া থাকে । সীঅর্চিন এর ডিম্বাণুতে চৌদ্দ হাজার থেকে লক্ষাধিক মাইটোকন্ড্রিয়া দেখা গেছে ।

★★ মাইটোকন্ড্রিয়ার গঠন :-

মাইটোকন্ড্রিয়ার দেহ প্রোটিন ও লিপিড নির্মিত দুটি একক আবরণী দিয়ে বেষ্টিত। বাইরের আবরণ মসৃণ কিন্তু ভেতরেরটি অনিয়ত ভাঁজ হয়ে আঙ্গুলের মতো কতকগুলো অভিক্ষেপ সৃষ্টি করে, এদের নাম ক্রিস্টি (Cristae; একবচনে - ক্রিস্টা)।

Read more