January 21, 2024

কুটির শিল্প - বাংলা প্রবন্ধ রচনা

ভূমিকা:

গরিব লোকেরা নিজগৃহে স্বল্প মূলধনে যে পণ্যদ্রব্য উৎপাদন করে, তাকেই সাধারণত কুটিরশিল্প বলে। এতে বেশি লোক বা বেশি দামি যন্ত্রপাতির দরকার হয় না। অতি প্রাচীনকাল থেকে বাংলাদেশের কুটিরশিল্প বিশ্বখ্যাত। তাঁতের শাড়ি ও কাপড়, বাঁশ-বেতের জিনিস, মাটির হাঁড়ি-পাতিল, দা-কুড়াল, ছুরি, কাঁচি, শীতল পাটি, মাছ ধরার যন্ত্রপাতি ইত্যাদি কুটিরশিল্পের অন্তর্গত।

কুটিরশিল্পের অতীত গৌরব:

আমাদের দেশের কুটিরশিল্প একদিন সমগ্র পৃথিবীতে বিস্ময় সৃষ্টি করেছিল। এদেশের বিখ্যাত মসলিন কাপড় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হতো। শুধু মসলিন কাপড়ই নয়, বাংলার মৃৎশিল্প, কাঁচি, ছুরি, বাঁশের তৈরি জিনিস ইত্যাদি শিল্পদ্রব্য রপ্তানির জন্যে বাংলাদেশ ছিল বিশ্ববিখ্যাত। কিন্তু সেগুলো এখন ইতিহাসের অধ্যায় মাত্র আজ তাই বাংলার কৃষিজীবনে ভাঙন। ভেঙে গেছে তার অর্থনৈতিক জীবন

বাংলার কুটিরশিল্পের ঐতিহ্য:

বাংলার কুটিরশিল্পের ছিল অতীত ঐতিহ্য । ঢাকাই মসলিন ছিল জগদ্বিখ্যাত। এ ছাড়াও যশোরের বোতাম ও চিরুনিশিল্প, ঢাকার অত্যাশ্চর্য শঙ্খ-শিল্প বিশ্বব্যাপী বিস্ময় সৃষ্টি করত। বাংলার মিষ্টান্নশিল্প, মাদুরশিল্প, সূচিশিল্প, চর্মশিল্প, হস্তনির্মিত কাগজ, সাবান, ঝিনুক, বাঁশ ও বেতের নানারকম জিনিস, কাচের চুড়ি, কার্পেট ইত্যাদি শিল্পেরও কদর ছিল ব্যাপক। কুটির শিল্পীরা বংশপরম্পরায় একই ধরনের শিল্পের চর্চা করত ।

আরও পড়ুন