টেলিভিশন রচনা - পঞ্চম এবং সপ্তম শ্রেণী
সূচনা:
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপহার দিয়েছে অনেক কিছু। এর মধ্যে টেলিভিশন এক বিস্ময়কর আবিষ্কার, যা মানুষের জীবনধারাকে বদলে দিয়েছে। প্রযুক্তির ক্রমবিকাশের ফলে টেলিভিশন এখন মুহুর্তের মধ্যে সারা বিশ্বকে উপস্থিত করছে।
টেলিভিশন কী:
'টেলিভিশন' শব্দটি 'টেলি' ও 'ভিশন' এ দুটো ল্যাটিন শব্দের সংযোগে তৈরি হয়েছে। 'টেলি' শব্দের অর্থ 'দূরত্ব' এবং 'ভিশন' শব্দের অর্থ 'দেখা'। সুতরাং টেলিভিশন শব্দের অর্থ দাঁড়ায় দূরদর্শন যন্ত্র ।
আবিষ্কার:
পল নেপকো নামের একজন জার্মান বিজ্ঞানী প্রথম টেলিভিশন বিষয়ে অভিমত প্রকাশ করেন। তাঁর মতের ওপর ভিত্তি করে ১৯২৬ সালে ইংল্যান্ডের জন এল বেয়ার্ড টেলিভিশন যন্ত্র উদ্ভাবন করেন।
টেলিভিশন ও বাংলাদেশ:
১৯৬৪ সালে বাংলাদেশে প্রথম টেলিভিশনের ব্যবহার শুরু হয়। বাংলাদেশে রঙিন টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু হয় ১৯৮০ সালে।
আরও পড়ুন :- বইমেলা - বাংলা রচনা : 200 শব্দ
ব্যবহার:
আমাদের দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো থেকে দেশ- বিদেশের খবর, চলচ্চিত্র, নাটক, সংগীত, খেলাধুলা ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়ে থাকে।
উপকারিতা:
টেলিভিশনের অনুষ্ঠানের বেশিরভাগই সাধারণত খবর ও বিনোদনমূলক। তবে শিক্ষামূলক কাজেও এর ব্যবহার হয়েছে। টেলিভিশনে দূরশিক্ষণের কাজ করা হয়ে থাকে । এভাবে প্রশিক্ষিত জনশক্তি গড়ে তোলা যায় ।
অপকারিতা:
সবকিছুরই যেমন কিছু ভালো দিক থোকে যেতমন কিছু খারাপ দিকও থাকে। টেলিভিশনও এর ব্যতিক্রম নয়। টেলিভিশন থেকে ক্ষতিকর গামা রশ্মি নির্গত হয়। অতিরিক্ত টেলিভিশন দেখলে চোখের ক্ষতি ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা হয়। টেলিভিশন দেখা নেশায় পরিণত হলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনারও ক্ষতি হয়।
উপসংহার:
টেলিভিশন আধুনিক জীবনের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ। তথ্য সরবরাহ, বিনোদন এবং গণযোগাযোগের ক্ষেত্রে টেলিভিশনের অবদান অনস্বীকার্য ।