May 4, 2024

রচনা : জাতীয় গাছ আম গাছ 

ভূমিকা :

গাছ মানুষের পরম বন্ধু। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। গাছ মানুষকে নানাভাবে সাহায্য করে। গাছের ডালপালা মানুষ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে, ফল খেয়ে জীবনধারণ করে। গাছ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে প্রাণিজগৎকে রক্ষা করে। আমাদের বাংলাদেশে নানা প্রজাতির গাছ আছে। আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, নারিকেল এবং বনজগাছের মধ্যে শাল, সেগুন, মেহগনি, গর্জন, গামার উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশের সর্বত্র যে গাছটি বেশি দেখা যায় তা হচ্ছে আমগাছ। আম একটি রসাল ফল। আমের মৌসুমে গ্রামের প্রতিটি পরিবারই তাদের বসতভিটায় লাগানো গাছ থেকে প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটায়। বাংলাদেশে অন্যান্য ফলের তুলনায় আম সহজলভ্য। মৌসুমে পাকা আমের মিষ্টি গন্ধে গ্রাম ও শহর মৌ মৌ করে। দেশি গুটি আমের গাছ যেখানে সেখানে লাগানো যায়। আমগাছের অবাধ বংশবৃদ্ধি ও ফলের গুণগত মান এবং জনপ্রিয়তা বিচারে আমগাছকে জাতীয় গাছ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে ।

আকৃতি :

আমগাছ আকৃতিতে বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। এদের ডালপালা চারদিকে ছড়ানো থাকে। বড় আকৃতির আমগাছ ২০-২৫ ফুট লম্বা এবং ৫-৬ ফুট চওড়া হয়। এর গায়ের রঙ সবুজ। আমগাছের ডাল পাতায় আবৃত থাকে। এরা চিরহরিৎ বৃক্ষের অন্তর্ভুক্ত। শীতকালে গাছের পাতা ঝরে গেলেও আমগাছ সবসময় পাতায় পরিপূর্ণ থাকে। এদের পাতাগুলো সরু ও লম্বা। ছোট আকৃতির আমগাছ ঘরের সামনে বা টবের মধ্যেও লাগানো যায়। আমগাছের শরীর বেশ খসখসে। এর মূল মাটির খুব গভীরে থাকে।

আরও পড়ুন