ভাবসম্প্রসারণ : বিদ্যা অমূল্য ধন (২টি)
মূলভাব : বিদ্যা মানবজীবনের অমূল্য সম্পদ। জ্ঞানের আলো মানুষকে নতুন আলোক পথের সন্ধান দেয়। পৃথিবীর অন্য কোনো কিছুর সাথেই বিদ্যাকে মূল্যায়ন করা যায় না।
সম্প্রসারিত ভাব : মানুষের সকল মূল্যবান জিনিস যেমন—টাকা-পয়সা, জমিজমা, ঘরবাড়ি সবকিছুই মূল্য দিয়ে বিনিময় চলে। কিন্তু বিদ্যা এক অমূল্য রত্ন। এই রত্ন মূল্য দিয়ে ক্রয়-বিক্রয় করা যায় না। বিদ্যা মানুষের প্রকৃত সফলতার চাবিকাঠি। মানবসভ্যতার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মূলে রয়েছে জ্ঞানসাধনা। বিদ্যা মানুষকে স্বতন্ত্রতা দান করে।
বিদ্যার বলে বলীয়ান হয়ে মানুষ চিরস্মরণীয় ও বরণীয় হতে পারে। পার্থিব সকল ধনসম্পদ নশ্বর। সবকিছুতে চোর-ডাকাতের ভয় থাকে। কিন্তু বিদ্যা এমনি এক সম্পদ যার কোনো ধ্বংস নেই, যাতে কোনো চুরি-ডাকাতির ভয় নেই। ধনসম্পদ ব্যয় করতে করতে একসময় নিঃশেষ হয়ে যায়।
কিন্তু বিদ্যা হলো অগ্নিশিখাস্বরূপ, এখান থেকে হাজার হাজার শিখা জ্বালানোর পরও শিখার আলোর কোনো কমতি হবে না। বিদ্যা বিতরণ করলে কেবল তা বাড়তেই থাকে, ভাণ্ডার কেবল পরিপূর্ণই হতে থাকে। বিদ্যার কারণেই মানুষ প্রকৃত মানুষ হয়ে বিবেক ও মনুষ্যত্বকে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীকে উন্নত সভ্যতা উপহার দিতে পারে। এজন্য বলা হয়, বিদ্যা অমূল্য সম্পদ।