January 15, 2024

মাতা পিতার প্রতি কর্তব্য - রচনা ২০ পয়েন্ট

উপস্থাপনা :

প্রত্যেক সন্তানের জন্য মাতাপিতার ন্যায় পরম স্নেহশীল ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি আর কেউ নেই। তাদের উসিলায়ই আমরা এ সুন্দর পৃথিবীর মুখ দেখতে পাই। প্রত্যেক সন্তানের জন্যই তার মাতাপিতা বিধাতার পক্ষ থেকে এক পরম উপহার। তাই প্রত্যেক সন্তানের উচিত সাধ্যানুযায়ী তাদের সেবা করা ও দোয়া নেয়া।

অসহায় মানব সন্তান :

দশ মাস দশ দিন মাতৃগর্ভে অবস্থানের পর মানব সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় । ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মানব সন্তান কোনো কাজ-কর্ম করার, এমনকি নিজের খাদ্য খাবার যোগ্যতাও থাকে না। পরম স্নেহ ভালবাসা দিয়ে মা সদ্যপ্রসূত সন্তানকে লালন- পালন করেন। মা-বাবা সারাক্ষণ সন্তানকে আগলিয়ে রাখেন, যাতে একটি পিপীলিকা পর্যন্ত সন্তানকে দংশন করতে না পারে, সন্তানের একটু চিৎকার চোখের ঘুম হারাম হয়ে যায়। এ মায়ের ঋণ শোধ করার শক্তি নেই কোনো সন্তানের ।

পিতামাতার অবদান :

পিতামাতার জন্যই সন্তান এই সুন্দর পৃথিবীর রূপ-রস, আরাম আয়েশ, সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছে। শিশুসন্তানের প্রতি পিতামাতার অবদান অপরিসীম ও বর্ণনাতীত। মা অতি কষ্টে দশ মাস দশ দিন সন্তানকে তাঁর গর্ভে ধারণ করেন। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই মা অসুস্থ ও দুর্বল শরীর নিয়ে সন্তানের সেবাযত্ন করেন। মাতৃস্তন্য পান করে শিশু বেঁচে থাকে। সন্তানের জন্য মায়ের চিন্তার যেন শেষ নেই।

সন্তানের শিক্ষা :

একটু বড় হলেই মাতাপিতা সন্তানের শিক্ষার জন্য সচেষ্ট হন। সাধ্যমতো সন্তানকে সুশিক্ষা দিতে তাঁরা বিন্দুমাত্র ত্রুটি করেন না। সন্তান বিপথগামী হলে মাতাপিতা তাকে সুপথে পরিচালিত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। বস্তুত আমরা আমাদের জন্ম, শিক্ষা-দীক্ষা সবকিছুর জন্যই মাতাপিতার নিকট ঋণী ।

আরও পড়ুন :