February 14, 2024

চরিত্র - রচনা ( ২০ পয়েন্ট )

উপস্থাপনা :-

মানুষের কাজকর্মে, চাল-চলনে, আচার-ব্যবহারে, কথাবার্তায় যখন একটি বিশেষ ভূমিকা পরিলক্ষিত হয় তখন তাকে চরিত্র বলে। চরিত্র মানুষকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য দান করে। চরিত্র মানুষকে বিশিষ্ট করে তোলে।

চরিত্রের মাধ্যমে মানুষ লোকসমাজে নিজের পরিচয় তুলে ধরে। এ কারণে চরিত্র মানুষের জীবনের প্রধান এবং শ্রেষ্ঠ সম্পদ। এটি মানবজীবনের মুকুটস্বরূপ। কতকগুলো মহৎ গুণের সমন্বিত সমাহারই চরিত্র।

চরিত্রের সংজ্ঞা :-

চরিত্র বলতে যে ধারণা বোঝায় তার মধ্যে আছে কতকগুলো গুণের সমাবেশ। যে সত্য ও ন্যায়ের পথে বিচরণ করে, কাজেকর্মে আন্তরিকতা দেখায়, সকল মানুষের জন্য যার সহানুভূতি সঞ্চিত থাকে, যে পরের কল্যাণ করতে আগ্রহী এমন লোককে চরিত্রবান বলে মনে করা হয়। মানবজীবনের সব গুণের সমন্বয়ে চরিত্র গড়ে ওঠে বলে চরিত্রবান মানুষ সকলের কাছে শ্রেষ্ঠ।

তাই প্রত্যেক মানুষের লক্ষ্য জীবনের সকল আচার-আচরণের মাধ্যমে এমন বৈশিষ্ট্যের পরিচয় দেয়া যাতে সুন্দর চরিত্র গড়ে উঠতে পারে। পরিণামে সে শ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে মর্যাদা পেতে পারে। ফুলের সৌরভ যেমন চারদিকে ছড়িয়ে মানব হৃদয়কে মোহিত করে, তেমনি মহৎ চরিত্রের সৌন্দর্য সকলের মনকে আকৃষ্ট করে। সত্যনিষ্ঠা, অন্যায়ের প্রতি অনীহা, প্রলোভনকে জয় করা, নৈরাজ্যকে উপেক্ষা করা- এ সবই উত্তম চরিত্রের বৈশিষ্ট্য বলে বিবেচিত।

চরিত্রের প্রকারভেদ :-

চরিত্র দুই প্রকার। যথা,

১. আখলাকে হামিদা বা প্রশংসনীয় চরিত্র। ২. আখলাকে যামিমা বা মন্দ চরিত্র।

চরিত্রবানের লক্ষণ:-

সমস্ত ঈর্ষা-বিদ্বেষ, অন্যায়, অহমিকাবোধ ও দাম্ভিকতা থেকে মুক্ত ব্যক্তিই সমাজে চরিত্রবান বলে বিবেচিত হয়। চরিত্রবান ব্যক্তি কখনো সত্য পথ থেকে স্থলিত হন না, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না, ক্রোধে আত্মহারা হন না, কারও সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করেন না । তিনি সত্যবাদী, জিতেন্দ্রিয় ও ভক্তিপরায়ণ হয়ে থাকেন ।

আরও পড়ুন