অধ্যবসায় - বাংলা রচনা ১০ পয়েন্ট - PDF
ভূমিকাঃ
কঠোর সাধনা ও পরিশ্রম ব্যতীত কখনোই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না। আর এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথে মানুষ বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়। এসব বাধা অতিক্রম করে প্রচুর পরিশ্রম আর ধৈর্যের মধ্য দিয়ে সাফল্য ছিনিয়ে আনার গুনটিই অধ্যাবসায়।
অধ্যবসায় কী:
'অধ্যবসায়' শব্দের অর্থ-অবিরাম সাধনা। কোনো কাজে সফল হওয়ার জন্যে মানুষের ক্রমাগত যে চেষ্টা তার নামই অধ্যবসায়। মানব চরিত্রের যেসব গুণ জীবনকে সুন্দর ও সার্থক করে তুলতে পারে অধ্যবসায় তার মধ্যে অন্যতম।
এ অনন্য গুণের সাহায্যে অসাধ্য সাধন করা যায়। প্রকৃতপক্ষে অধ্যবসায় হলো এক ধরনের মানসিক শক্তি । যার মানসিক বল যত বেশি, সে তত বেশি অধ্যবসায়ী। পরাজয় কখনো অধ্যবসায়ীর পথে বাধা হতে পারে না ।
অধ্যবসায়ের প্রথম ধাপ :
সাফল্য লাভের আশায় ব্যর্থ হয়ে নিজেকে অসহায় মনে করে কাজ ছেড়ে দেয়, সে জীবনে কখনো উন্নতি লাভ করতে পারে না। পৃথিবীতে যে কোনো কাজে প্রথম উদ্যোগে সাফল্য লাভ করা সহজ নয়। যে মানুষ কাজের প্রথম উদ্যোগে অধ্যবসায়ী হতে না পারলে জীবনে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উপনীত হওয়া যায় না।
পৃথিবীর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ইতিহাস পড়লে জানা যায়, তাদের অনেকেই প্রথম উদ্যোগেই কোনো কাজে সাফল্য অর্জন করতে পারেননি। এজন্য বারবার বিভিন্ন কৌশলে, নতুন আঙ্গিকে চষ্টা করতে হয়েছে।
অধ্যবসায়ের গুরুত্ব:
কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য, উদ্যম ও অবিচল সংকল্প অধ্যবসায়ের অঙ্গ। মানুষের জীবনে সাফল্য এবং ব্যর্থতা দু-ই আছে । কিন্তু সব ব্যর্থতাই সাময়িক। ব্যর্থতাকে জয় করার জন্যে দরকার ক্রমাগত চেষ্টা। ব্যর্থতার নৈরাশ্যকে দূর করার জন্যে প্রয়োজন অধিক উৎসাহ নিয়ে কর্তব্যকর্মে এগিয়ে যাওয়া। কারণ অধ্যবসায় সহকারে চেষ্টা করলে দেরিতে হলেও সফলতা একদিন আসবেই।
সেদিন পূর্বের ব্যর্থতার গ্লানি মুছে গিয়ে সফলতার মুকুট মাথায় শোভা পাবে ।পৃথিবীতে যা কিছু মহৎ, যা কিছু সুন্দর, যা কিছু কল্যাণকর সবই অধ্যবসায়ের দ্বারা অর্জিত হয়েছে। অধ্যবসায়ী না হলে কোনো জাতি উন্নতি লাভ করতে পারে না। পৃথিবীতে বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করার শক্তি যার যত বেশি, সাফল্যও তার তত বেশি এবং জীবনযুদ্ধে জয়লাভ করার ক্ষমতাও তার সর্বাধিক।