রচনা : বিদায় হজ (২০ পয়েন্ট)
উপস্থাপনা :
মহানবি (স) তাঁর জীবনের শেষ হজ পালন করলেন দশম হিজরিতে। ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানোর দায়িত্ব তখন রাসূল (স)-এর শেষ পর্যায়ে। এ হজে তিনি তাঁর জীবনের শেষ আনুষ্ঠানিক ভাষণ দান করেন । এটি মহানবি (স) এর জীবনের শেষ ভাষণ হওয়ায় এ ভাষণকে বিদায় হজ এর ভাষণ নামে অভিহিত করা হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে পরিচিত হয়ে আছে।
বিদায় হজের ভাষণের পটভূমি :
আরবের লোকেরা যখন দলে দলে ইসলাম গ্রহণ শুরু করল তখন মহানবি (স) মনে করলেন তাঁর দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে। তাই তিনি হজ পালনের সিদ্ধান্ত নিলেন। দশম হিজরী সনের ৯ই জিলহজ শুক্রবার আরাফার দিন দুপুরের পর আরাফাতের জাবালে রহমত পাহাড়ের শীর্ষে দাঁড়িয়ে মহানবি (স) প্রায় দু’লাখ সাহাবির সমাবেশে যে বিখ্যাত ভাষণ দেন, তাই বিদায় হজের ভাষণ নামে পরিচিত।
কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাসের মূলোৎপাটন :
রাসূলুল্লাহ (স) তাঁর ভাষণের প্রারম্ভেই তাঁর বিরোধীদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন এবং জাহেলি যুগের যাবতীয় কুসংস্কার, অন্ধ বিশ্বাস, অনাচার রহিত ও বাতিল ঘোষণা করেন। তিনি মানুষকে এক আল্লাহর পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, একদিন অবশ্যই আল্লাহর দরবারে হাজির হতে হবে এবং সকল কৃত কর্মের হিসাব দিতে হবে।