April 16, 2024

ব্যাকরন কাকে বলে , কত প্রকার এবং ব্যাকরন পাঠের প্রয়োজনীয়তা

সংজ্ঞা :- যে শাস্ত্র অধ্যায়ন করিলে ভাষা শুদ্ধ রূপে লিখতে, পড়তে ও বলতে পারা যায় তাকে ব্যাকরণ বলে।

ব্যাকরণের প্রকারভেদ

ব্যাকরণ প্রধানত চার প্রকার । যথা—

  • ১। বর্ণনামূলক ব্যাকরণ (Descriptive Grammar)
  • ২। ঐতিহাসিক ব্যাকরণ (Historical Grammar)
  • ৩। তুলনামূলক ব্যাকরণ (Comparative Grammar)
  • ৪। দার্শনিক বিচারমূলক ব্যাকরণ (Philosophical বা Psychological Grammar)

১। বর্ণনামূলক ব্যাকরণ :

বিশেষ বিশেষ কোনো কালের কোনো একটি ভাষারীতি ও তার প্রয়োগ সম্পর্কে বর্ণনা দেয়া এ জাতীয় ব্যাকরণের বিষয় এবং সেই বিশেষ কালের ভাষার যথাযথ ব্যবহার নির্দেশও এর লক্ষ্য।

২। ঐতিহাসিক ব্যাকরণ :

কোনো নির্দিষ্ট যুগের ভাষাগত প্রয়োগরীতি আলোচনা করে আলোচ্য ভাষার প্রকৃত রূপটি উদ্ঘাটন ও বিকাশের ইতিহাস পর্যালোচনা করাই এর উদ্দেশ্য।

৩। তুলনামূলক ব্যাকরণ :

বিশেষ কোনো কালের বিভিন্ন ভাষার গঠন ও প্রয়োগরীতির তুলনামূলক আলোচনা এ জাতীয় ব্যাকরণের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।

৪। দার্শনিক বিচারমূলক ব্যাকরণ :

ভাষার অন্তর্নিহিত চিন্তা ও প্রণালিটি আবিষ্কার ও অবলম্বন করে সাধারণভাবে কিংবা বিশেষভাবে ভাষার রূপের উৎপত্তি ও বিবর্তন ঘটে, তার বিচার-বিশ্লেষণ করা এ জাতীয় ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয়।

আরও পড়ুন