December 4, 2023

তোমার প্রিয় কবি - বাংলা রচনা [ Class - 6, 7, 8 ,9 ,10] 

উপস্থাপনা ঃ

ভাল লাগা ও মন্দ লাগার বিচারে কাজী নজরুল ইসলামই আমার প্রিয় কবি। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তিনি অবাধে বিচরণ করলেও মূলত বিদ্রোহী কবি হিসেবেই তিনি আমাদের কাছে এবং বিদেশেও পরিচিত। কাজী নজরুল ইসলামের লেখনীতে আমি আমার চিন্তা-চেতনার প্রকাশ দেখতে পাই, এজন্যই তিনি আমার প্রিয় কবি।

প্রিয় হওয়ার কারণ :

আমি অন্যায় পছন্দ করি না। অন্যায়কে প্রশ্রয়ও দিতে চাই না। সাধ্যানুযায়ী অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চেষ্টা করি। আমার প্রিয় কবি, একজন বিদ্রোহী কবি। তিনি তাঁর ভাষা ও শক্তি দিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে গেছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি কবিতা লিখেছেন। একমাত্র নজরুলই নির্ভয়ে বলতে পেরেছেন-

“কারার ঐ লৌহ কপাট ভেঙে ফেল কররে লোপাট”, লাথি মারি ভাংরে তালা, যত সব বন্দিশালা আগুন জ্বালা' এসব জ্বালাময়ী কবিতা। তিনি শুধু কবিতাই লেখেননি; বরং বাঙালি পল্টনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে সৈনিক জীবন বরণ করেন। এজন্য তিনি আমার প্রিয় কবি।

নিম্নে তাঁর জীবনকাল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

জন্ম ও বংশ পরিচয় :

কবি কাজী নজরুল ইসলাম ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে বাংলা ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ (১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৪ মে) এক দরিদ্র মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম কাজী ফকির আহমদ ও মাতার নাম জাহেদা খাতুন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, কবির পূর্বপুরুষ চুরুলিয়া গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। আট বছর বয়সে তিনি পিতাকে হারান। নজরুলের জীবনে তাঁর চাচা ফজলে করিমের প্রভাব অপরিসীম। তাঁর বাল্যশিক্ষা অসমাপ্ত থেকে যেত যদি তিনি চাচার সহায়তা না পেতেন ।

বাল্যকাল :

বাল্যকালে তিনি খুব ডানপিটে ও স্বাধীনচেতা ছিলেন। কোনো বাঁধাধরা নিয়ম-কানুন তিনি পছন্দ করতেন না। এজন্য নিয়মিত স্কুলেও যেতেন না। পিতৃহীন হওয়ার কারণে কবি পরিবারে আয়-রোজগারের কেউ ছিল না। ফলে তাঁদের দৈনন্দিন জীবন খুব কষ্টে কাটত । সাংসারিক খরচ মেটাতে তাকে বাল্য বয়সেই বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত হতে হয়েছে।

Read more