July 1

বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প রচনা (২০ পয়েন্ট) SSC, HSC- pdf

উপস্থাপনা :

জীবিকার তাগিদে একঘেয়ে কাজ করতে করতে কর্মক্লান্ত সৈনিক যখন অবসন্ন হয়ে পড়ে, ঠিক তখনি মন চায় বেড়িয়ে আসতে খোলা প্রান্তরে। প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমিতে প্রকৃতির নির্মল আলো-বাতাস বুক ভরে পান করলে দূর হয় ক্লান্তি, সতেজ হয় মন, ফিরে আসে মনে কর্মস্পৃহা। শ্যামলিমা প্রকৃতির জাদুর স্পর্শে দূর হয় বিরক্তি, অস্থিরতা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রকৃতির কোলে বর্তমানে গড়ে উঠেছে নয়নাভিরাম পর্যটন শিল্প । বাংলাদেশও এ শিল্পে বিশেষ মনোনিবেশ করেছে। বিজ্ঞানের আশীর্বাদে সৃষ্টি হয়েছে উন্নত যোগাযোগ, প্রচার মাধ্যমগুলোর সাহায্যে ভ্রমণপ্রিয় মানুষের কানে পৌঁছে যায় নয়নাভিরাম মনোমুগ্ধকর স্থানগুলোর খবর ।

পর্যটন কী :

অচেনাকে চেনার, অজানাকে জানার, অদেখাকে দেখার আকাঙ্ক্ষায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে, এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমণ করাকে পর্যটন বলা হয়। পর্যটন একাধারে একটি দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মকাণ্ড। AIEST (অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল অব এক্সপার্টস ইন সায়েন্টিফিক্ ট্যুরিজাম)-এর মতে, “কোনো উপার্জনমূলক কাজে যুক্ত নয় এবং স্থায়ীভাবে বসতি গড়ে না এমন ব্যক্তির ভ্রমণ এবং কোথাও থাকা থেকে উৎসারিত প্রপঞ্চ ও সম্পর্কের সমষ্টি হচ্ছে পর্যটন।” বর্তমানে পর্যটন একটি শিল্প হিসেবে স্বীকৃত।

পর্যটনের পরিচয় :

পর্যটন বিষয়বস্তুর ধারণা হলো অনেক প্রাচীন । প্রাচীনকালে ইবনে বতুতা, ফাহিয়েন, মার্কোপোলো, হিউয়েন সাং-সহ বিশ্ববিখ্যাত পর্যটকরা ইতিহাসে স্থায়ী হয়ে আছেন । সেই সময়ে যোগাযোগ ও যাতায়ত ব্যবস্থা খুব কঠিন ও কষ্টকর থাকা সত্ত্বেও দেশে বিদেশে ভ্রমণপিপাসুরা ঘুরে বেড়িয়েছেন । বিখ্যাত এসব পর্যটকের অনেকেই এসেছিলেন এ উপমহাদেশে ইতিহাস থেকে জানা যয় । বিশ্বব্যাপী পর্যটনের যে ধারণা আজ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে তা মূলত তখনকার ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত ।

আরও পড়ুন