সাধু, চলিত ও আঞ্চলিক ভাষা কাকে বলে? এদের বৈশিষ্ট্য ও উদাহরণ
সংজ্ঞা :- বাংলা ভাষার যে রূপটি সর্বজনীন স্বীকৃত এবং ব্যাকরণের নিয়ম-কানুনসহ যথাযথভাবে মেনে চলে, তাকে সাধু ভাষা বলে।
উদাহরণ : বিলাসী মুখ টিপিয়া হাসিতে শুরু করিয়াছিল।
সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য :-
(১) সাধু ভাষা ব্যাকরণের সুনির্দিষ্ট ও সুনির্ধারিত নিয়মের অনুসারী।
(২) সাধু ভাষা গুরুগম্ভীর ও আভিজাত্যের অধিকারী।
(৩) সাধু ভাষা মার্জিত ও সর্বজনবোধ্য এবং অঞ্চলবিশেষের প্রভাবমুক্ত।
(৪) সাধু ভাষায় তৎসম শব্দের প্রাধ্যান্য বেশি ।
(৫) সাধু ভাষায় ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদ পূর্ণরূপে ব্যবহৃত হয়।
(৬) সাধু ভাষা সাধারণত কথাবার্তা, বক্তৃতা ও নাটকের সংলাপের উপযোগী নয়।
(৭) সাধু ভাষা কৃত্রিম উপায়ে তৈরি। এর রূপ অপরিবর্তিত।
(৮) সাধু ভাষার বানান রীতি সুনির্দিষ্ট।
সংজ্ঞা :- দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের মৌখিক ভাষা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে একটি পরিমার্জিত রুপ লাভ করেছে ,যা সর্বজন স্বীকৃত এবং যে ভাষা রীতি দৈনন্দিন কর্মজীবনে পরস্পরের সাথে কথাবার্তা বলতে মানুষ ব্যবহার করে, তাকে চলিত ভাষা বলে।