May 4, 2024

রেল ভ্রমণের একটি অভিজ্ঞতা : বাংলা প্রবন্ধ রচনা

ভূমিকা :

যেকোনো ধরনের ভ্রমণই আনন্দদায়ক । ভ্রমণ করা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি । আর ভ্রমণ থেকে অর্জিত হয় অনাবিল আনন্দ ও প্রশান্তি। প্রকৃতপক্ষে, ভ্রমণের ফলে মানুষের চিত্ত যেমন প্রফুল্ল হয় ঠিক তেমনি সে অনেক অজানার সন্ধান লাভ করে ।

রেলভ্রমণের প্রস্তুতিপর্ব :

দিনক্ষণ ঠিক হলো আমাদের ভ্রমণের। আমার তো কোনোভাবেই দেরি সহ্য হচ্ছিল না। খালামনি গেলেন স্টেশনে টিকিট কাটতে। রেলে দিন দিন যাত্রী বাড়ছে, তাই একটু আগেভাগে টিকিট না কাটলে সিট পাওয়া যায় না। সুন্দরবন ট্রেনের টিকিট কেটে এনে খালামনি আমার হাতে দিলেন- গ বগির ২৭ ও ২৮ নম্বর সিট আমাদের, সময় সকাল ৭:৪০ মিনিট। আমার আনন্দের মাত্রা আরও বেড়ে গেল। ব্যাগ গোছাতে শুরু করলাম; মনে করে সব তুললাম। আমার মামাতো ভাই দীপ্তর জন্যে একটি উপহার কিনেছি; সেটা রাখলাম ব্যাগে সবার ওপরে। মাও মামির জন্য কিছু জিনিস দিলেন। সেগুলো অবশ্য খালামনির ব্যাগে জায়গা পেল ।

রেল স্টেশনের দৃশ্য :

আমাদের বাড়ি থেকে স্টেশন খুব দূরে নয়। রিকশায় আমরা স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । প্রায় ১৫ মিনিট পর আমরা কমলাপুর স্টেশনে নামলাম। এই স্টেশনটিকে একবারে নতুন করে সাজানো হয়েছে। ছাদের ওপর ট্রান্সপারেন্ট গ্লাস লাগানোয় সম্পূর্ণ আলো স্টেশনের ভেতরে পড়ছিল। মোট ৬টি প্লাটফর্ম আছে এ স্টেশনে এবং সবগুলোতেই ট্রেন প্রতিদিন যাতায়াত করে। স্টেশনের ভেতরে বিশুদ্ধ পানি খাবার সুন্দর ব্যবস্থা আছে। তাছাড়া স্টেশনটিও বেশ পরিষ্কার। তবু কিছু মানুষ খাবারের ঠোঙা এদিক-ওদিক ফেলল। আমার খুব খারাপ লাগল ওই দৃশ্য দেখে ।

আরও পড়ুন