প্রবন্ধ রচনা : একটি নদীর আত্মকাহিনী
ভূমিকা :
আমার নাম পদ্মা। আমি দুঃখ বহন করে নিয়ে চলা এক নদী। সেই জন্মলগ্ন থেকে আমি নিরবধি বয়ে চলেছি।
আমার উৎস :
আমার কথাগুলো তোমরা মন দিয়ে শোন। পর্বতের তুষারাচ্ছন্ন উচ্চ চূড়ায়, যেখানে জীবজন্তু নেই, জনমানব কেউ। যেখানে যেতে পারে না, এ পৃথিবীর ধূলি কণা কিছুই যেখানে নেই সেখানে এক গুহায় আমার জন্ম। সেখানকার আকাশ ধূম্র মেঘাচ্ছন্ন। তা এক রহস্যময় স্বপ্নপুরী। তুষার বিগলিত পানিতে আমার দেহ পরিপুষ্ট। পর্বতের উচ্চ চূড়া থেকে আমি তরতর ধারায় পর্বতের গা বেয়ে গভীর নির্ঘোষে অধিত্যকা প্রদেশে নেমে আসি। সেখানে আবার অনেক নতুন পানিধারার সাথে মিলিত হই।
আমার বেড়ে ওঠা :
তারপর দ্বিগুণ শক্তিতে উপত্যকা থেকে উপত্যকা পাড়ি দিয়ে দিয়ে সানুদেশে উপনীত হই। সমতলে নেমে আমি পৃথিবীর সাথে ঊর্ধ্বলোকের যোগসূত্র রচনা করি। এ সময় দু'দিক থেকে কতো গিরিপ্রবাহিনী আমার সাথে যোগ দেয়। তখন আমার গতি কতকটা মন্থর হয় বটে, কিন্তু আয়তন ক্রমে বর্ধিত হতে থাকে। যতই অগ্রসর হই, আমার আয়তনও তত বাড়তে থাকে। আকারে- আয়তনে আমি আরো বড় হতে থাকি।