January 15, 2024

শীতের সকাল - রচনা [ Class - 6, 7, 8, 9 ,10 ]

উপস্থাপনা :

ঋতুচক্রের আবর্তে এ দেশে আসে শীতকাল। হেমন্তের ফসলভরা মাঠ যখন শূন্য ও রিক্ত হয়ে পড়ে, তখনই ঘনকুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে আসে শীত। উত্তরে হিমেল হাওয়া হাড়ে কাঁপন লাগিয়ে আসে তার নিজস্ব রূপ নিয়ে । তখন প্রকৃতি জগতে সৃষ্টি হয় এক ভিন্ন সৌন্দর্য। এ সৌন্দর্য দেখা যায় শীতের সকালে।

শীতের সকালের আগমন ঃ

বাংলার বুকে শীতের রয়েছে স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য। শীতের রাতে মানুষ লেপ কাঁথা মুড়ি দিয়ে নিশ্চুপ হয়ে থাকে। তারপর এক সময় পাখি ডাকে, কুয়াশার বুক ভেদ করে ফুটে ওঠে আলোর রেখা । প্রভাত হয়, ভেসে আসে মোয়াজ্জিনের আযানের ধ্বনি। তীব্র শীতের কাঁপন উপেক্ষা করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ ছুটে চলেন মসজিদে। লাঙ্গল ও গরু নিয়ে কৃষকরা মাঠে যায় কাঁপতে কাঁপতে ।

শীত সকালের দৃশ্য :

শীতের সকাল থাকে কুঁয়াশায় ঢাকা। দিগন্ত বিস্তৃত সাদা শাড়ী দিয়ে যেন প্রকৃতিকে ঢেকে রাখে কুয়াশার আড়ালে। ঘড়ির দিকে তাকালে বুঝা যায় বেলা হয়েছে। সমস্ত প্রকৃতি শিশির সিক্ত। বাইরে কনকনে শীত। কাঁথা ছেড়ে ওঠতে কিছুতেই মন চায় না। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা সূর্যের মুখ দেখার জন্য বার বার জানালার ফাঁকে উঁকি মারে। কোথাও বা চোখে পড়ে আগুন পোহাবার দৃশ্য ।

শীত সকালে গ্রাম-গঞ্জ :

শীতের সকাল গ্রাম-গঞ্জের মানুষের জন্য খুব কষ্টদায়ক । শীত নিবারণের মত প্রয়োজনীয় কাপড় তাদের থাকে না। শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে খুব সকালে তাদেরকে মাঠে ময়দানে কাজে যেতে হয়। কিষাণ বধূরাও তখন ধান মাড়াই, ধান সিদ্ধ ইত্যাদি নানা কাজে ব্যস্ত থাকে। সূর্যালোকিত শিশির কণাগুলো চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। এ দৃশ্য বড়ই মনোরম।

আরও পড়ুন