শ্রমের মর্যাদা রচনা ২০ পয়েন্ট [ SSC এবং HSC ]
উপস্থাপনা :
Industry is the mother of good luck. অর্থাৎ, পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। মানবজীবনের উন্নতি-অগ্রগতি, সভ্যতা- সংস্কৃতি, এমনকি অস্তিত্বও শ্রমের ওপর নির্ভরশীল। ক্ষুদ্র পিপীলিকা থেকে শুরু করে মানব-মহামানব পর্যন্ত সকলকেই পরিশ্রম করতে হয়।
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি :
সংস্কৃত প্রবাদে আছে- “দৈব নং দেয় মিতি কাপুরুষংবদন্তি।” অর্থাৎ, দৈবলব্ধ অর্থের কল্পকাহিনী অলস কাপুরুষের স্বল্পবিলাস মাত্র। কোনো অলস ব্যক্তি নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে না। সৌভাগ্য কোথাও থেকে ধার পাওয়া যায় না। কঠোর শ্রমসাধনা দ্বারাই সৌভাগ্য অর্জন করতে হয়। পৃথিবীর সফল ব্যক্তিদের জীবন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নিরন্তর প্রচেষ্টা ও কঠোর শ্রমের দ্বারাই তারা নিজের ভাগ্য নির্মাণ করেছেন।
শ্রম সম্পর্কে ধারণা :
শ্রম দু'প্রকার। শারীরিক শ্রম ও মানসিক শ্রম । আমরা অনেকেই শারীরিক শ্রমকে অমর্যাদাকর ও অসম্মানজনক মনে করি। আমাদের অনেকের ধারণা, শ্রমজীবী মানুষ যেমন চাষী, কুলি-মজুর, শ্রমিক- এরা ছোট জাতের মানুষ, কিন্তু তা ঠিক নয়। জাতীয় উন্নয়নে এদের অবদানই বেশি।