November 19
উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই ,কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে-উক্তিটির তাৎপর্য
উপসর্গ হলো অব্যয়বাচক শব্দাংশ। এরা শব্দ বা ধাতুর পূর্বে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে। এদের নিজস্ব কোনো অর্থ নেই। এরা ধাতু বা শব্দের পূর্বে বসে শব্দের গঠন ও বৈচিত্র্য সম্পাদন করে মাত্র। এদের অর্থবাচকতা নেই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে । নিচে বিস্তারিত আলোচনা উপস্থাপন করা হলো :
“উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে’ উক্তিটির তাৎপর্য :
উপসর্গের নিজস্ব কোন অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অন্য শব্দের পূর্বে যুক্ত হলে এদের অর্থদ্যোতকতা বা নতুন শব্দ গঠনের ক্ষমতা আছে। যেমন- ‘হার’ একটি শব্দ যার অর্থ ‘মালা’। ‘বি’, ‘উৎ, ‘পরি’, ‘আ’, ‘প্র’, ‘উপ’, ‘সম’ এগুলো উপসর্গ । এদের স্বতন্ত্রভাবে নিজের কোন অর্থ নাই । কিন্তু এই উপসর্গগুলো- ‘হার’ শব্দের পূর্বে যুক্ত হলে কতকগুলো নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন-
বি + হার = বিহার — অর্থ ভ্রমণ ।
উৎ + হার = উদ্ধার — অর্থ রক্ষা করা।
পরি + হার = পরিহার — অর্থ ত্যাগ করা ।
আ + হার = আহার — অর্থ খাওয়া ।