বিদেশে উচ্চশিক্ষা: জেনে নিন করণীয়!
বিদেশে উচ্চশিক্ষা: জেনে নিন করণীয়! (পর্ব ১)
আমাদের মধ্যে অনেকেরই ইচ্ছা, উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে পড়তে যাওয়া। সেটা হতে পারে আন্ডার গ্রাজুয়েশন, পোস্ট গ্রাজুয়েশন কিংবা ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের জন্য। দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে থাকি। কারণ, বিষয়টি আমাদের জন্য যথেষ্ট নতুন এবং আমরা সেরকম দক্ষ মেন্টরও পাই না, যারা আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবেন। যার ফলে আমরা অনেকেই মিসকন্সেপশনে ভুগে থাকি এবং এই কারণে অনেক উল্টোপাল্টা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।
অনেকসময় বিভিন্ন দালাল কিংবা এজেন্সির লোকেরা এই অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে আমাদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে এই বলে যে, নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা এবং পাসপোর্ট দিলেই তারা ভিসা- থাকা- খাওয়া ও পড়ার ব্যবস্থা করে দেবে। এইসব ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই নিজের লাখ লাখ টাকার লোকসান করেছেন। তাই বিদেশে পড়তে যাওয়ার সকল খুঁটিনাটি নিয়ে লেখা এই ব্লগটি তাদের জন্য, যারা এখন বিদেশে পড়তে যাবেন কিংবা ভবিষ্যতে বিদেশে পড়াশুনা করতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন।
কেনো বিদেশে পড়তে যাবো?
বিদেশে কেনো পড়তে যাবো, এই প্রশ্নটা আগে নিজেরই নিজেকে করা উচিত। যদি উত্তর হয় চাকরিক্ষেত্রে বাড়তি লাভ কিংবা সিভিটা একটু ভারী করা, তাহলে বিদেশে পড়তে যাওয়া আপনার জন্য নয়।
আমাদের দেশের মানুষেরা ভাবেন, এইচএসসি পাশ করেই আন্ডার গ্রাজুয়েশনের জন্য নিজেদের সন্তানদের বিদেশে পড়াতে পাঠিয়ে দেওয়াই হলো সঠিক সিদ্ধান্ত। আবার অনেকেই দেশের কোনো পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স না পেয়ে দেশের বাইরে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বিদেশে যেয়ে গ্রাজুয়েশন করার আগে দেশে থেকেই ব্যাচেলর ডিগ্রি শেষ করে যাওয়া ভাল। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, বিদেশে যেয়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিজের পড়াশুনাটা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারেন না। কেননা তাদের মধ্যে বেশিরভাগই টিউশন ফি দিয়ে বিদেশে পড়তে যান। যার ফলে তারা সেই দেশে যেয়ে কোন রেঁস্তোরায় বা পেট্রোল পাম্পে পার্টটাইম চাকরি করেন।
আর এই পার্টটাইম চাকরির পেছনে এতটাই সময় চলে যায় যে এরপর সময়মতো ক্লাসে যাওয়া, অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া, পরীক্ষা দেওয়ার সময় পান না। তখন দেশে ফিরে আসা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। কিন্তু এখানেই বাঁধে বিপত্তি। কেননা দেশ থেকে অনার্স কমপ্লিট না করে যাওয়ায়, দেশে ফিরে তারা হয়ে যান ইন্টারমিডিয়েট পাশ। তখন তারা মনমতো কোনো চাকরিও পান না, চাকরির বয়সও পার হয়ে যেতে থাকে। যেই সময়টায় বন্ধুরা সবাই চাকরিতে ঢুকে পড়ে। আবার বিদেশে পড়াশুনা শেষ না করে কোনো ভাল চাকরিও পাওয়া যায় না, আপনার যত দক্ষতাই থাকুক না কেন। তখন হয়তো সেই পার্টটাইম কাজটাই আপনাকে ফুলটাইম মানে সারাজীবন চালিয়ে যেতে হবে।
তাই বিদেশে পড়তে যাওয়ার আগে সবকিছু ভেবেচিন্তে যাওয়াটাই জরুরি৷ বিদেশে পড়তে যাওয়ার প্রক্রিয়াটা বেশ ব্যয়বহুল। তাই শুধু সামর্থ্য থাকলেই টিউশন ফি দিয়ে পড়া উচিত, নাহলে না।
বিশ্বের অনেক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা করে। তাই সেইসব ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে যেয়ে দেখতে হবে স্কলারশিপের ধরণ, স্কলারশিপ দেবে কিনা, স্কলারশিপ পেতে হলে কী কী যোগ্যতা থাকা লাগবে। যদি স্কলারশিপ না পান, তাহলে টিউশন ফি ছাড়া কোনো ইউনিভার্সিটি আছে নাকি, সেটার খোঁজ করতে হবে। আজকাল অনেক ইউনিভার্সিটিতেই টিউশন ফি ছাড়া পড়ানো হয়। ওয়েবসাইট ঘাঁটাঘাঁটি করলেই সেটার খোঁজ পাবেন।
যদি টিউশন ফি ছাড়া পড়ারও কোনো অপশন থাকে না, তাহলে শুধু সামর্থ্য থাকলেই আপনার জন্য বিদেশে পড়তে যাওয়ার পথটুকু খোলা থাকবে। এছাড়াও আপনি যেই কোর্সটা করতে যাচ্ছেন, তার চাহিদা বিশ্ববাজারে কেমন, ১০ বছর পর এর চাহিদা কেমন হবে, দেশে ফিরে এই কোর্স নিয়ে আবার পড়াশুনা করা যাবে নাকি, কেমন চাকরি করতে পারবেন- এইসব বিষয়ও মাথায় রাখাটা দরকার। অনেকেই এইসব বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা না থাকায় অথৈ জলে হাবুডুবু খেতে থাকেন।
আমরা অনেকেই Youth Opportunities-এর নাম শুনেছি। এই ওয়েবসাইটে বিশ্বের কোথায় কোন প্রতিযোগিতা হচ্ছে, কোথায় ভলান্টিয়ার লাগবে, কোন কোন প্রতিষ্ঠানে পেইড ইন্টার্ন নিচ্ছে এমনকি স্কলারশিপের খোঁজ-খবরও দেওয়া হয়। আপনারা চাইলেই কোন কোন দেশে স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে, তাদের ওয়েবসাইটে যেয়ে একটু ঢুঁ মেরে আসতে পারেন।
লিংক: https://www.youthop.com/
লিংক : https://bangla.youthop.com/
এছাড়াও বাংলাদেশ শিক্ষামন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট : https://moedu.gov.bd/
স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের টার্গেট কান্ট্রি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, চীন, জার্মানি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং রাশিয়া। এইসকল দেশের স্কলারশিপ সংক্রান্ত খোঁজখবর মিলবে তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইগুলোতে। যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার তথ্যের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটের লিংক:
যুক্তরাজ্যের অনুমোদিত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা পাওয়া যাবে এই লিংকে- https://www.gov.uk/browse/visas-immigration/student-visas অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যাবে- http://studyinaustralia.gov.au সাইটে। কানাডায় উচ্চশিক্ষার প্রয়োজনীয় তথ্য মিলবে www.cic.gc.ca/english/information/applications/student.asp জার্মানীতে পড়াশোনা এবং গবেষণা সংক্রান্ত আরও তথ্য পাওয়া যাবে – www.daad.de/deutschland/index.en.htm এবং বৃত্তি সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে www.daad.org.uk/en/12703/index.html সাইটে।
এছাড়াও ঢাকাস্থ এইসব দেশের দূতাবাসে গেলেও প্রয়োজনীয় সব তথ্যই পাওয়া যাবে।
বিদেশে উচ্চশিক্ষার উপকারিতা কী?
বিদেশে পড়তে যাওয়ার উপকারিতা অবশ্যই আছে, নাহলে তো সবাই বিদেশে পড়ার জন্য উঠে পড়ে লাগতো না! বিদেশে সবাই পড়তে যায় ভালমানের উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, “কেনো? দেশে কী উচ্চশিক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই?”
অবশ্যই আছে! কিন্তু দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সাথে বিদেশের শিক্ষাব্যবস্থার বেশ বড় একটা ফারাক আছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক কোনো রাজনীতি নেই, নেই কোনো সেশনজট। গবেষণা করার অফুরান্ত সুযোগ পাওয়া যায় বিদেশে৷ আর একাজে সেই কোর্সের প্রফেসর থেকে শুরু করে ডিপার্টমেন্ট হেড, সকলেই খুব সাহায্য করে থাকেন।
এছাড়াও শিক্ষা গ্রহণের কোনো নির্দিষ্ট সীমানা নেই।
“The world is a book, and those who do not travel read only one page.”
অর্থাৎ পুরো পৃথিবী না ঘুরলে এই বিশ্ব সম্পর্কে কোনো কিছুই জানা যাবে না। নিজের দৃষ্টিভঙ্গির প্রসার ঘটাতে এবং বিভিন্ন কাজে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
যারা বিদেশে থেকে পড়াশুনা করেছেন, তারা সাধারণ মানুষের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি স্বাধীনচেতা, আত্মনির্ভরশীল, বুদ্ধিমত্তা ও সৃজনশীল ক্ষমতার দিক থেকে অনেক এগিয়ে। নিজের পরিবার ছেড়ে যেহেতু বিদেশে সম্পূর্ণ একা থাকতে হয়, তাই তারা আত্মনির্ভরশীল এবং সমস্যা সমাধানে পটু। শুধু তাই নয়, তারা কোনো চ্যালেঞ্জিং কাজ করতে পিছপা হয় না। বিদেশে থাকার অভিজ্ঞতা অনেক মূল্যবান, যদি দেশে এসে সেই অর্জিত জ্ঞান আপনি সঠিক জায়গায় কাজে লাগাতে পারেন।
বিদেশে অবস্থানের ফলে আপনি সেই দেশের রাজনীতি, সংস্কৃতি, আচার-আচরণ, রীতিনীতি সম্পর্কে অবগত হবেন। এর পাশাপাশি বিশ্ব সম্পর্কে আপনার এক অন্যরকম দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পাবে। বিশ্বের রাজনৈতিক ইস্যুগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। বিদেশে থাকার ফলে আপনাকে সেই দেশের ভাষা শিখতে হবে, যা আপনার অভিজ্ঞতার মুকুটে আরেকটি পালক যুক্ত করবে।
বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার ফলে তা শুধু আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং মূল্যবোধের উন্নয়ন ঘটাবে না, পাশাপাশি আপনার পেশাগত দক্ষতাও বৃদ্ধি পাবে। চাকরির বাজারে আপনার চাহিদা বেড়ে যাবে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।
বিদেশ ফেরত গ্র্যাজুয়েটরা আন্তর্জাতিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ এবং মাতৃভাষা ছাড়াও এক বা একাধিক ভাষাতে দক্ষ; আর এই দু’টি বিষয়ের উপর জোর দিয়ে থাকে এই আন্তর্জাতিক বা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়াও তাদের কমিউনিকেশন স্কিল, অন্য সংস্কৃতি ও সমাজের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জ্ঞান থাকায় এবং সেই সাথে নতুন পরিস্থিতিতে বিকল্প উপায় ভাবা এবং ঝুঁকি নেয়া সম্ভব হয় বলে প্রতিষ্ঠানগুলো গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সর্বোচ্চ রকম সুযোগ-সুবিধা প্রস্তাব দিয়ে থাকে নিজেদের প্রতিষ্ঠানে রাখার জন্য।
এবার প্রস্তুতি নেওয়ার পালা:
কেনো বিদেশে পড়তে যাবো, তার কারণ নাহয় জানা গেলো। এবার পরবর্তী ধাপ হলো বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা৷ বিদেশে পড়তে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে না নেওয়াটাই ভাল। সবচেয়ে ভাল হয়, বিদেশে পড়তে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা ইন্টারমিডিয়েটের সময়েই যদি করে ফেলা যায়। তাহলে প্রস্তুতি নেওয়ার খুব ভাল পরিমাণের সময় পাওয়া যাবে। শুধু ভাল ফল অর্জন করলেই চলবে না, বিদেশের পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার দক্ষতাটাও সাথে থাকার প্রয়োজন।
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশে প্রধান ভাষা ইংরেজি হওয়ায়, তাল মেলাতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বিশেষ কোনো অসুবিধা হয় না। কিন্তু চীন, জাপান, রাশিয়া, ফ্রান্স বা জার্মানীর মত দেশগুলোয় প্রধান ভাষা ইংরেজি নয়। তাদের রয়েছে নিজেদের মাতৃভাষা। অনেক ক্ষেত্রে এসব দেশে পড়তে যেতে হলে ঐ দেশের ভাষাটা শিখে নিলে সুবিধা হয়। কিন্তু এসব দেশেও ইংরেজীতে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। তবে রাস্তায় মানুষদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তাদের নিজস্ব ভাষাটা শিখে নেওয়াই শ্রেয়।
সূত্র:
http://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/badol777/29760104
http://oli-goli.com/think-before-you-going-abroad/
https://www.internationalstudent.com/study-abroad/guide/ten-benefits-to-studying-abroad/
বিদেশে উচ্চশিক্ষা: জেনে নিন করণীয়! (পর্ব ২- IELTS)
বিদেশে পড়তে চাইলে শুধু সামর্থ্য থাকলেই চলবে না, করতে হবে কিছু পড়াশুনা, দিতে হবে কয়েক রকমের পরীক্ষা। বিশ্বজুড়ে আপনার ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা কেমন, তা জানার জন্য আপনাকে সাধারণত দুইটি পরীক্ষায় বসতে হবে। একটি হলো আইইএলটিএস এবং অন্যটি হলো টোয়েফল।
যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ার মতন কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে পড়তে যেতে চাইলে ইংরেজিতে নিজের দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে আইইএলটিএস (IELTS) স্কোরের তথ্য দিতে হয় আর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা প্রভৃতি দেশে টোয়েফল (TOEFL) স্কোর প্রয়োজন হয়। কোন কোন দেশে দু’টি পদ্ধতিই গ্রহণযোগ্য। আর এসব স্কোর দু’বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আবেদন করার আগেই পরীক্ষা দিতে বসা উচিত। এছাড়াও উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য স্যাট (SAT), জিআরই (GRE), জিম্যাট (GMAT) পরীক্ষাগুলোতেও অংশ নেওয়া লাগতে পারে।
চলুন তাহলে এই পরীক্ষাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক!
IELTS:
এই শব্দটির সাথে আমরা ছোট-বড় সবাই কমবেশি পরিচিত। কেননা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় প্রায়ই ‘অমুক স্যারের কাছে IELTS কোচিং করুন’- এই ধরণের বিজ্ঞাপন দেখে থাকি (!) IELTS এর পূর্ণ রূপ হলো: International English Language Testing System. প্রায় ২১ বছর আগে এই পদ্ধতি চালু হয়। বৃটিশ কাউন্সিল, আইডিপি, আইইএলটিএস অস্ট্রেলিয়া এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে এর তদারক করে। বিশ্বের ১৩৫টির বেশি দেশে সাত হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠান আইইএলটিএস-কে স্বীকৃতি দেয়। এখানে চারটি দক্ষতার (লেখা, বলা, শোনা, পড়া) পরীক্ষা নেয়া হয়।
ওয়েবসাইট: http://www.ielts.org
IELTS যেভাবে হয়:
IELTS মূলত ৪টি মডিউলে সম্পন্ন হয়৷ প্রতিটি মডিউলের ব্যান্ড নম্বর সর্বোচ্চ ৯। মডিউল ৪টি হলো Listening, Reading, Writing, Speaking. ৬ কিংবা ৬ এর উপরের নাম্বারকে স্ট্যান্ডার্ড নম্বর হিসেবে ধরা হয়৷ পরীক্ষা ২ ধরণের হয়। একাডেমিক এবং জেনারেল। পড়াশুনার জন্য একাডেমিকটা বরাদ্দকৃত। জেনারেলের সাথে শুধুমাত্র পার্থক্য Reading আর Writing এ।
বাংলাদেশে British Council আর IDP এই পরীক্ষা নিয়ে থাকে। মাসে ৩ বার নেওয়া হয় এই পরীক্ষা। একজন পরীক্ষার্থী জীবনে যত খুশি ততবার এই পরীক্ষা দিতে পারবেন। একবার দেয়ার পরে পরেরবার যেকোনো সময়ে দিতে পারবেন। একসাথে আপনার হাতে একের অধিক রেজাল্ট থাকলেও কোন সমস্যা নাই।
পরীক্ষা দেয়ার দিন থেকে ১৩ তম দিনে রেজাল্ট পাব্লিশ করা হয়। রেজাল্ট ভাল না মনে হলে আপিল করার সুযোগ থাকে। কিছু ফি নেয়া হয় তখন। কিন্তু রেজাল্ট চেঞ্জ না হলেও ফি কিন্তু ফেরত দেয়া হবেনা।
IELTS Listening:
এই মডিউলে দ্বিপক্ষীয় কিছু কথা দেখানো হয়। সেখান থেকেই প্রশ্ন করা হয়৷ প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর করে পাবেন। কোন ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটা যাবেনা। ৪ টি সেকশন থাকে। প্রতিটি সেকশনে ১০ টি করে প্রশ্ন থাকে। কম বেশিও হতে পারে। যদি দেখেন মোট প্রশ্ন ৪১/৪২/৩৯ টি তাহলেও ঘাবড়াবার কিছু নাই। তারা তাদের ব্যান্ড নাম্বার সেভাবেই সেট করে রাখেন।
“ Now turn to the section 1” বলার মাধ্যমে পরীক্ষা শুরু হবে। এর আগে প্রশ্নপত্রে ভুলেও হাত দিবেন না। প্রতিটি সেকশনের মাঝে ৩৫-৪০ সেকেন্ডের বিরতি দেওয়া হয়। উত্তর পেন্সিল দিয়ে লিখলে ভাল, তাহলে ভুল হলে মুছে আবার ঠিক করা যাবে। যা শুনবেন সেটিই লিখবেন, কোনো প্রতিশব্দ লিখার চেষ্টা করবেন না। আর একদম শেষে answer transfer এর জন্য এক্সট্রা ১০ মিনিট পাবেন।
IELTS Reading:
তিনটি বিভাগে ৪০টি প্রশ্ন থাকবে। সময় ১ঘন্টা। নানা জার্নাল,বই,সংবাদপত্র,ম্যাগাজিন থেকে কিছু অংশ তুলে দেওয়া হবে। সেখান থেকেই বাক্যপূরণ, সংক্ষিপ্ত উত্তর, সঠিক উত্তর খুঁজে বের করা ইত্যাদি থাকবে।
IELTS Writing :
এখানে ৩টি সেকশন থাকে। আমরা এসএসসি ও এইচএসসিতে যেমন seen comprehension দেখে থাকি, এখানেও একই ধরণের প্রশ্নের প্যাটার্ন থাকে, তবে একটু কঠিন হয়।
সময় ১ ঘন্টা। প্রশ্নে সাধারণত True/False, Yes/No, Question and Answer ধরণের প্রশ্ন আসে। আগেই প্রশ্নের উপরে কী লিখা আছে তা ভালভাবে পড়ে নিবেন। কেননা প্রশ্নে যদি থাকে Yes/No, কিন্তু আপনি লিখলেন True/False, তাহলে কিন্তু হবে না। আর ১ ঘন্টার মধ্যেই সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন, কেননা এখানে এক্সট্রা ১০ মিনিট দেওয়া হবে না।
পরীক্ষার শুরুতে আন্সার শিট দিবে আর তার দুইদিকে থাকবে Listening আর Reading এর উত্তর লিখার জায়গা। খেয়াল করে লিখবেন। যদি Listening আর Reading উত্তর পাল্টাপাল্টি হয়ে যায়, তাহলে ৯-৯ পেলেও সেটা ১৮ হয়ে যাবে, ব্যান্ডে আসবে না।
এখানে দুইটি সেকশন থাকে। প্রথমটায় গ্রাফ, টেবিল, ডায়াগ্রাম থাকে। সেখান থেকে আপনাকে বিস্তারিত লিখতে বলা হবে, অর্থাৎ চিত্রের বিবরণ দিতে হবে। এটাকে Task 1 বলে। Task 2 টা কিছুটা ভারী টাইপের। তাই তার মূল্যও কিন্তু Task 1 থেকে বেশি। কয়েক রকমের প্রশ্ন আসে। যেমন: একটা statement দিয়ে দিলো। সেটার উপকারিতা/ অপকারিতা নিয়ে লিখতে বলতে পারে। আবার “আপনি কি এটার সাথে একমত নাকি একমত না?” এরকম বলে কেন একমত/ একমত না সেটার বিস্তারিত বলুন এই টাইপেরও প্রশ্ন হয়।
IELTS Speaking:
এটিও মূলত ৩টি সেকশনে হয়। প্রথম সেশনে আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবে, সেগুলোর উত্তর দিতে হবে। ২য় সেকশনে আপনাকে একটি কাগজ ও পেন্সিল দিবে। কাগজে লিখা টপিকটি নিয়ে আপনাকে ২ মিনিট কথা বলতে হবে৷ এবং ৩য় সেশনে সেই একই টপিকের উপর বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে। Speaking এ Fluency & Coherence, Grammer, Lexical resource, Pronunciation আর Intonation উপর ভিত্তি করে মার্ক দেয়া হয়।
IELTS প্রস্তুতি:
এই কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি কতটা দক্ষ, সেটা যাচাই করা হয়। তবে কঠিন পরীক্ষার কথা শুনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারলেই এই পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করা সম্ভব। আপনি যদি ইংরেজিতে খুব বেশি দক্ষ হন, তবুও আপনাকে প্রস্তুতি নিয়েই পরীক্ষা দিতে বসা উচিত। একদিনের প্রস্তুতি দিয়েই ভাল নম্বর পাওয়া সম্ভব নয়, তাই দৈনিক কমপক্ষে ৩০-৬০ মিনিট IELTS প্রস্তুতির জন্য রাখা উচিত। অন্তত ৩ মাস ধরে এই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। এবং IELTS এর মডেল প্রশ্ন সলভ করলেও প্রশ্ন সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়৷
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে IELTS পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের এমন মডেল পাওয়া যায়। ঢাকার নীলক্ষেত থেকে খুব কম টাকা দিয়েই আপনি এই বইটি সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। চাইলে নির্ভরযোগ্য কোনো প্রতিষ্ঠানে কোর্সও করে নিতে পারেন, তবে এর পাশাপাশি আপনাকে বাসায়ও পড়তে হবে। IELTS সম্পর্কিত সবধরণের তথ্য পাবেন ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং আইডিপি বাংলাদেশ থেকে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের লাইব্রেরির সদস্য হয়ে গেলে তাদের লাইব্রেরি থেকে আপনি IELTS সম্পর্কিত অসংখ্য বই পড়তে পারবেন।
নীলক্ষেত থেকে না জেনে কোনো বই কিনে অর্থ ও সময় নষ্ট না করাই ভালো। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, আইডিপি অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের সরাসরি তত্ত্বাবধানেই IELTS পরীক্ষা হয়। তাদের কাছ থেকেই যখন সরাসরি তথ্য পাচ্ছেন, তখন অন্য কোথাও যাওয়াটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। IELTS নিবন্ধনের সময় প্রস্তুতির জন্য দুটি ছোট বই দেওয়া হয়। এগুলো ভালোমতো পড়ুন ও সমাধান করুন। ব্যাকরণের অনেক খুঁটিনাটি জানতে পারবেন।
প্রথমেই মডেল প্রশ্নগুলো সমাধান করার চেষ্টা করুন। Spelling mistake এর জন্য নম্বর কাটা যায়। তাই নিজের বানান ঠিক রাখার চেষ্টা করবেন। ভুল উত্তর দিলে কোনো নম্বর কাটা যায় না। তাই সব প্রশ্নেরই উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
প্রশ্নের মধ্যে উল্লেখ করা থাকে যে কত শব্দের মধ্যে উত্তর দিতে হবে৷ যেই কয় শব্দের উল্লেখ থাকবে, সেই কয়টির মধ্যেই নিজের উত্তর লিখবেন। নাহলে নম্বর পাবেন না। Speaking এ ভাল করতে হলে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলা শুরু করুন৷ এতে আপনার জড়তা কমবে। British Council, Wings, Gateway, Saifur’s, Mentors তে নির্দিষ্ট ফির বদলে মক টেস্ট দেওয়া যায়। নিজের দক্ষতা যাচাই করতে চাইলে এখানে পরীক্ষা দিয়ে দেখতে পারেন।
সহায়ক বই:
এবার আসা যাক বইয়ের ব্যাপারে। নীলক্ষেতে গেলে আমরা ফুটপাথের উপর থেকে শুরু করে একদম শেষ দোকান পর্যন্ত শুধুই IELTS প্রস্তুতির নানা ধরণের বই দেখতে পাই। তবে! ভুলেও সামনে যা পাবেন, সেটার দিকে হাত বাড়াবেন না! সব বইয়ে ভাল মানের কিছু নাও পেতে পারেন৷ এখানে আমি IELTS পরীক্ষার জন্য দরকারী এবং উপযোগী কিছু বইয়ের নাম দিয়ে দিচ্ছি।
Listening:
লিসেনিং-এর জন্য Cambridge-এর সিরিজ আছে। খুব ভালো। তবে প্রথম দুটো মানে 1 এবং 2 খুব সাধারণ মানের। ভালো কিছু শেখা যাবে 3, 4, 5, 6 -এই বইগুলো থেকে। এই বইগুলো CD-সহ কিনতে হবে। অথবা কারো কাছ থেকে পেনড্রাইভে সফট কপিও সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
Reading:
অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের মতে রিডিং-এর জন্য Saifur’s-এর বইটা সহজ এবং বোধগম্য।
Writing:
রাইটিং-এর জন্য ভালো বই হচ্ছে Moniruzzaman’s IELTS Writing বইটি।
Speaking:
স্পীকিং-এর জন্য Khan’s Cue-Card 1 এবং 2 বেশ কার্যকরী।
এছাড়াও http://ieltsliz.com/ http://www.ielts-exam.net/ এই দুইটি লিংকে যেয়ে IELTS এর বেশকিছু মডেল কোয়েশ্চেন পাবেন। এগুলো ১০ দিন প্রাক্টিস করলেই চলবে।
স্কোর:
0-9 এই স্কেলে IELTS এর স্কোর দেওয়া হয়। চারটি অংশে আলাদাভাবে ব্যান্ড স্কোর দেওয়া হয়। এগুলোর গড় করে সম্পূর্ণ আরেকটি স্কোর দেওয়া হয়। এখানে কৃতকার্য বা অকৃতকার্য হওয়ার কোনো বিষয় নেই। আপনি আপনার প্রয়োজনীয় স্কোর করতে পারলেই পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্য সফল হবে। ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলে সাধারণত সাড়ে ছয় থেকে সাড়ে সাত পেতে হয়। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যান্ড স্কোরের ক্ষেত্রেও আলাদাভাবে ভালো করতে হয়।
সম্পূর্ণ স্কোর যত ভালোই হোক না কেন, একটি বিভাগে স্কোর কমে গেলে ভর্তির সুযোগ না-ও পেতে পারেন। পরীক্ষা দেওয়ার আগেই জেনে নিন ন্যূনতম কত স্কোর প্রয়োজন। আর আগেই বলেছি IELTS স্কোরের মেয়াদ থাকবে দুই (২) বছর।
IELTS Score Scale:
IELTS স্কোরসমূহের শুরু 1 থেকে 9 পর্যন্ত। স্কোরগুলো হচ্ছে –
Band 8: খুব ভালো ব্যবহারকারী তবে কিছু জায়গায় সমস্যা রয়েছে
Band 7: ভালো ব্যবহারকারী, চলনসই
Band 3: অতিরিক্তমাত্রায় সীমিত ব্যবহারকারী
Band 1: যারা অপ্রাসঙ্গিক উত্তর দিয়েছে বা যারা communicate ব্যর্থ হয়েছে
Band 0: পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেনি / উত্তর দেয়নি।
পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ:
ব্রিটিশ কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে প্রতি মাসে তিনবার, অর্থাৎ বছরে ৩৬ বার IELTS পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আগে, কোনো পরীক্ষার্থী আশানুরূপ না পেলে পরে পরীক্ষা দিতে হতো প্রথম পরীক্ষার অন্তত তিন মাস পর। এখন নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত স্কোর পাওয়ার আগ পর্যন্ত যতবার খুশি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
সাধারণত IELTS এর ফল প্রকাশিত হয় পরীক্ষার ১৩ দিন পর। ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে ফলাফল সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া ব্রিটিশ কাউন্সিল এর ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার্থীর নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, জন্মতারিখ, পরীক্ষা প্রদানের তারিখ এন্ট্রি করে সহজেই জেনে নিতে পারবেন IELTS পরীক্ষার ফলাফল। যদি আপনার পরীক্ষার ফলের ওপর কোন সন্দেহ থাকে তবে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ‘Enquiry on Result’ -এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে, ফলাফলে ভুল ধরা পড়লে অবশ্যই আপনি ওই টাকা ফেরত পাবেন। ছয় থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই ব্রিটিশ কাউন্সিল আপনার পুনঃনম্বরকৃত ফলাফল ফিরে পাবে এবং তখন ব্রিটিশ কাউন্সিল আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।
IELTS প্রস্তুতি অনলাইনে:
অনলাইনে IELTS পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং ভালো স্কোর পেতে বেশকিছু সাহায্যকারী ওয়েবসাইট রয়েছে। Writing, Reading ও Speaking এর ওপর বিশদ ধারণা, লেসন, অডিও টিউটোরিয়ালসহ প্রয়োজনীয় প্রায় সব কিছুই যুক্ত করা হয়েছে এসব সাইটগুলোতে। IELTS প্রস্তুতিতে সহায়ক এমন কিছু ওয়েবসাইটের ঠিকানা-
- www.britishcouncil.org/professionals-exams-ielts-intro.htm
- www.ielts-exam.net
- www.ielts.studyau.com
- www.candidates.cambridgeesol.org/cs
- www.cross-link.com/ielts-tutor.html
- www.uefap.co.uk
রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্য:
পরীক্ষার আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ঢাকা, চট্টগ্রাম অথবা সিলেট শাখায়। তাদের অনুমোদিত ‘Registration Point’ Saifur’s, Gateway ও Mentors থেকেও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। পরীক্ষার তিন থেকে চার সপ্তাহ আগেই রেজিস্ট্রেশন করা ভালো।
পরীক্ষার্থীরা অনলাইনেও রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। ফি পরিশোধ সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা অনলাইনেই পাওয়া যায়।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের অফিশিয়াল সাইটের ’Register for IELTS’ থেকে ‘Register Online’ এ ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য এন্ট্রির মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা সহজেই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন করতে খরচ পড়বে ১৫,৮০০ হাজার টাকা।
বি.দ্র: রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর পাসপোর্ট থাকা আবশ্যক। রেজিস্ট্রেশনের সময় পাসপোর্টের ১ম ৪ পৃষ্ঠার ফটোকপি জমা দিতে হবে।
৩ কপি সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট আকারের ছবি ( ছয় মাসের অধিক পুরানো নয় এমন ছবি) এবং রেজিস্ট্রেশন ফরমে চশমা পরিহিত ছবি গ্রহণযোগ্য নয়। আপনার নিবন্ধন ফর্ম কাছের কোন ব্রিটিশ কাউন্সিল অফিস অথবা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ব্রাঞ্চের বুথে অথবা রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টে জমা দিন। আপনি আপনার পরীক্ষা খরচ ব্যাংক ড্রাফট অথবা নগদ অর্থের মাধ্যমে ব্রিটিশ কাউন্সিলে অথবা রেজিস্ট্রেশন পয়েন্ট অথবা ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিপোজিট স্লিপ পূরন করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের শাখাগুলোতে জমা দিতে পারেন।
বিস্তারিত তথ্য জানতে ব্রিটিশ কাউন্সিল এ যোগাযোগ করুন। British council IELTS Registration Points: ব্রিটিশ কাউন্সিল আইইএলটিএস রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টস-
S@ifur’s: Suvastu Tower (3rd Floor), 69/1, Green Road, Panthapath, Dhaka.
Tel: +880 2 911 85 11/01824-999 888; website: www.saifurs.org
Gateway: 3/3 Block-A Lalmatia, Dhaka 1207, (Behind Sunrise Plaza)
Tel: +880 2 9125092, 8118250; Fax: 8121727 Ext-120 website: www.gateway-edu.net
Mentors: 166/1, Mirpur Road, Kalabagan, Dhaka-1205
Tel: +880 2 9131828, 9141795; website: www.mentors.com.bd
Standard Chartered Bank branches for IELTS registration (British Council): আইইএলটিএস রেজিস্ট্রেশনের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের শাখাগুলোঃ (ব্রিটিশ কাউন্সিল)
Dhanmondi Branch: House –37, Road-2, Dhanmondi R/A, Dhaka 1205.
House –11, Road-5, Dhanmondi R/A, Dhaka 1205.
Gulshan Branch: Block No. NE (K), 3A/1, Holding No. 168, Gulshan Avenue, Dhaka.
SCB House, 67 Gulshan Avenue, Gulshan, Dhaka- 1212.
Uttara Branch: House-81 A, Road –7, Sector-4, Uttara, Dhaka-1230.
Sheraton Branch: Dhaka Sheraton Hotel (BSL Complex), 1 Minto Road, Dhaka 1000.
Mirpur Branch: Plot- 1, Road- 12, Block- C, Section 6, Mirpur, Dhaka 1221.
সূত্র:
http://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/chiroterrosh/29867691
https://takeielts.britishcouncil.org/prepare-test/how-prepare-ielts-test
বিদেশে উচ্চশিক্ষা: জেনে নিন করণীয়! (পর্ব ৩- TOEFL & SAT)
TOEFL:
Test of English as a Foreign Language, সংক্ষেপে যা TOEFL নামে পরিচিত। যা ইংরেজি ভাষাভাষী নয়, এমন শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে দক্ষতা যাচাই করার পরীক্ষা। স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে যারা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা কিংবা যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের জন্য এই পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়েবসাইট: http://www.ets.org/toefl/
তাদের এই নিজস্ব ওয়েবসাইটে গিয়ে পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করে অনলাইনে নির্দিষ্ট ফি জমা দিতে হয়। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ১৭০ ইউএস ডলার বা ১৩ হাজার ২৬০ টাকা। ঢাকায় একাধিক টেস্ট সেন্টার রয়েছে, যেগুলোর ঠিকানাও পাওয়া যাবে এই ওয়েবসাইটে।
এখানেও চারটি দক্ষতার (Reading, Writing, Listening এবং Speaking) উপর পরীক্ষা নেওয়া হয়। ১৩০টিরও বেশি দেশে প্রায় সাড়ে আট হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান টোয়েফল স্কোরকে স্বীকৃতি দেয়। এখানে দু’ধরনের টেস্ট নেয় হয়, এটি হলো Internet based test এবং অন্যটি Paper Based Test। Internet based test বছরে ৩০ থেকে ৪০ বার নেয়া হয় আর paper based test বছরে ৬ বার নেয় হয়। Internet based test নেওয়ার জন্য সারা বিশ্বে প্রায় সাড়ে চার হাজারের বেশি কেন্দ্র রয়েছে। যেসব জায়গায় ইন্টারনেট বেজড টেস্ট নেবার সুবিধা নেই সেসব জায়গাতেই কেবল পেপার বেজড টেস্ট নেয়া হয়।
Reading, Listening, Speaking ও Writing এই চারটি সেকশনের প্রতিটিতে ৩০ নম্বর করে মোট ১২০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়।
Reading:
এই সেকশনের জন্য পরীক্ষার্থীর হাতে ৬০ থেকে ১০০ মিনিট পর্যন্ত সময় থাকে। এর মধ্যে ৪-৬টি Passage পড়ে শেষ করতে হয় এবং প্রতিটিতে ১২ থেকে ১৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
Listening:
এই সেশনের জন্য বরাদ্দ থাকে ৬০ থেকে ৯০ মিনিট, যার মধ্যে ৬-৯টি Passage শুনতে হয় এবং প্রতিটি passage শোনার পর সে সম্পর্কিত ৫-৬টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। Speaking সেকশনটি সে তুলনায় একটু ভিন্ন ধরনের। এখানে মোট ছয়টি বিষয়ে পরীক্ষার্থীকে কিছু নির্দেশাবলি শোনানো হয়, যার ওপর ভিত্তি করে তাঁকে নিজের মতামত প্রকাশ করতে বলা হয়। ২০ মিনিটের এই সেকশনে পরীক্ষার্থী কতটুকু গুছিয়ে, সাবলীলভাবে ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন, তা যাচাই করা হয়।
Writing:
এইখানে দুটি বিষয়ের ওপর লিখতে দেওয়া হয় এবং এর জন্য সময় থাকে ৫০ মিনিট। পরীক্ষার্থী ইংরেজিতে কতটুকু দক্ষ, তার ওপর নির্ভর করে প্রস্তুতি নিতে কত সময় প্রয়োজন, যা কয়েক সপ্তাহ থেকে শুরু করে কয়েক মাস হতে পারে। টোয়েফল পরীক্ষা সারা বছরই দেওয়া যায় এবং একজন পরীক্ষার্থী চাইলে যতবার ইচ্ছা পরীক্ষা দিতে পারেন। উল্লেখ্য, একবার পরীক্ষা দেওয়ার ১২ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যায় না এবং IELTS এর মতই এত মেয়াদও দুই বছর পর্যন্ত থাকে।
IELTS এবং TOEFL কে বলা যায় সমধর্মী পরীক্ষা। এই দুটির মধ্যে যেকোনো একটি পরীক্ষাতে অংশ নিলেই হয়। তবুও প্রস্তুতি নেওয়ার আগে নিজের কাঙ্খিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে যেয়ে Language Requirement অপশনটি ভালভাবে পড়ে নিতে ভুলবেন না। সেখানে তারা টোয়েফল স্কোর গ্রহণ করে কিনা এবং করলে সর্বনিম্ন কত স্কোর হতে হবে, তা দেওয়া থাকবে।
যেমন: যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় TOEFL ও আইএলটিএস স্কোর দুটোই গ্রহণ করে থাকে এবং টোয়েফলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১১০ স্কোর থাকতে হয়। এ ছাড়া প্রতিটি সেকশনের জন্য তাঁদের ন্যূনতম স্কোর হলো Reading সেকশনে ২৪, Listening সেকশনে ২২, Writing সেকশনে ২৪, Speaking সেকশনে ২৫। আবার কখনো একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ন্যূনতম স্কোর ভিন্ন হয়, তাই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার আগে এসব ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে এবং সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে তুলতে হবে।
SAT:
একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য কতটা প্রস্তুত, তার পরীক্ষা হয় স্যাট টেস্টের মাধ্যমে। SAT এর পূর্ণরূপ হলো Scholastic Aptitude Test।
স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ে ইংরেজী পড়া, লেখা এবং গণিতে অর্জিত দক্ষতার পরীক্ষা নেয়া হয় এই ধাপে।
ওয়েবসাইট: http://sat.collegeboard.org/home
স্নাতক পর্যায়ে বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য যাঁদের প্রথম পছন্দ যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডা, তাদের জন্যেও স্যাট (SAT) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের সঙ্গে স্যাট স্কোর জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। তাই বলে এমন নয় যে, যেসব বিদ্যালয়ে স্যাট স্কোর চাইবে না, তাদের জন্য স্যাট এক্সাম দিবো না। সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষাবৃত্তি পাওয়ার জন্য স্যাট পরীক্ষার স্কোর বেশ কাজে দেয়।
SAT যেভাবে হয়:
৩ ঘন্টা ৪৫ মিনিটের SAT এক্সামকে Critical Reading, Math এবং Writing- মোট তিনটি অংশে ভাগ করা হয়। আর প্রতিটি অংশে ৮০০ করে মোট ২৪০০ মার্কের পরীক্ষা হয়।
Critical reading– এ সাধারণত শব্দজ্ঞান, ছোট-বড় বিভিন্ন Passage পড়ে অনুধাবন করার ও তার ওপর ভিত্তি করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা যাচাই করা হয়।
Math- অংশের প্রশ্নগুলোর মধ্যে রয়েছে পাটিগণিত, বীজগণিত, জ্যামিতি ও ত্রিকোণমিতি-সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানজনিত প্রশ্ন।
Writing- অংশে থাকে বাক্য ও প্যারাগ্রাফ উন্নতিকরণ সম্পর্কিত প্রশ্ন, যেখানে একাধিক সম্ভাব্য উত্তরের মধ্য থেকে সঠিক উত্তরটি খুঁজে বের করতে হয়। এ ছাড়া এ অংশে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর একটি Essay লিখতে দেওয়া হবে, যার জন্য বরাদ্দকৃত সময় মাত্র ২৫ মিনিট। তাই সময়ের দিকে খেয়াল রেখেই লিখা শুরু করতে হবে।
২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে SAT পরীক্ষায় বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। নতুন পরীক্ষা কাঠামোয় SAT পরীক্ষার মোট নাম্বার ১৬০০। প্রতিটি সেকশনে ৮০০ নম্বর। তবে এর সাথে অপশনাল হিসেবে থাকছে Essay Writing। এর জন্য আলাদাভাবে ৬-২৪ স্কেলে নাম্বার দেয়া হবে। নতুন পদ্ধতির SAT পরীক্ষায় ২ টা প্রধান সেকশন থাকছে। যেমন – Mathematics section এবং Evidence based reading- writing section। পূর্বে reading এবং writing আলাদা সেকশন হিসেবে থাকলেও নতুন SAT কাঠামোয় দুটি মিলে মূল একটি সেকশন করা হয়েছে।
Evidence Based Reading Section:
এই সেকশনে ৬৫ মিনিট সময়ে ৫২ টি প্রশ্নের করতে হবে। মোট ৪টি প্যাসেজ থাকবে। প্রতি ১০টি প্রশ্নের জন্য একটি করে প্যাসেজ। প্রশ্নগুলো সাধারণত এমসিকিউ ধরনের। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ৫টি করে অপশন থাকবে।
Reading section এ প্রথম প্যাসেজ সাধারণত প্রসিদ্ধ ইংরেজি উপন্যাস এবং গল্প থেকে নেয়া হবে। এই প্যাসেজটি পরে ১-১০ পর্যন্ত প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।
দ্বিতীয় প্যাসেজও কোন উপন্যাস কিংবা প্রকাশিত ম্যাগাজিনের গল্প থেকে নেয়া হবে। তবে এর সাথে একটি বার চার্ট থাকতে পারে। এই প্যাসেজটি পরে ১১-২১ পর্যন্ত প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।
তৃতীয় প্যাসেজের সাথে থাকবে একটি ডাটা টেবিল। যা থেকে ২২-৩২ পর্যন্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর করতে হবে।
চতুর্থ প্যাসেজটি তুলনামূলক একটু বড় হয়। যা থেকে ৩২-৪১ পর্যন্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর করতে হবে।
পঞ্চম প্যাসেজে আবার দুটি অংশ থাকতে পারে। এই প্যাসেজটি থেকে ৪২-৫২ পর্যন্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর করতে হবে।
Writing and Language Test Section:
SAT পরীক্ষার অন্যান্য সেকশনের তুলনায় writing সেকশনে সব থেকে বেশি পরিবর্তন এসেছে। এই সেকশনে ৩৫ মিনিট সময়ে ৪৪ টি প্রশ্নের করতে হবে। এই সেকশনটিও প্যাসেজ ভিত্তিক এবং উত্তরগুলো এমসিকিউ ধরনের।
এর মধ্যে প্যাসেজে প্রতিটি প্রশ্নের জন্য আন্ডার লাইন করা অংশ থেকে তথ্য নিয়ে সঠিক উত্তরগুলো করতে হবে। রাইটিং সেকশনে Standard English Conventions অংশে থাকছে ২০ টি প্রশ্ন। যার মধ্যে থাকবে Covering sentence structure, conventions of usage এবং conventions of punctuation এমন ধরনের ছোট ইংলিশ গ্রামারের প্রয়োগ সংক্রান্ত। এছাড়াও Expression of Ideas অংশ থেকে আসবে ২৪ টি প্রশ্ন।
এই অংশে অধিকাংশ প্রশ্নই MCQ ধরণের। প্রতিটি ভুল উত্তরের পূর্বে নাম্বার কাটা হলেও নতুন সংস্করণে তা থাকছে না। এর মধ্যে প্রথম ভাগে আসা ২০টি প্রশ্নে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। তবে পরের সাইন্টেফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।
২০টি প্রশ্নের জন্য ২৫ মিনিট সময়। এই সেকশনে ৩টা সাব-সেকশন। এই ম্যাথ সেকশনটিতে ক্যালকুলেটর ব্যবহার নিষেধ।
দুইটি প্যাটার্নে প্রশ্ন হয়ে থাকে –
MCQ ধরণের প্রশ্ন আসবে। আপনার কাজ হবে সঠিক উত্তরটি বাছাই করা। ১৫ টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।
এখানে আপনাকে ৫ টি গ্রিড-ইন টাইপ প্রশ্ন দেওয়া হবে (অংক করে খালি ঘরে উত্তর লিখতে হবে)।
Calculator Use Section:
৩৮টি প্রশ্নের জন্য ৫৫ মিনিট সময়। এই সেকশনে ৪টা সাব-সেকশন আছে। এই সেকশনে সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে। এখানেও দুই প্যাটার্নে প্রশ্ন হবে-
সাব সেকশনটির প্রথম ভাবে ৩০ টি ম্যাথ থাকবে। যেগুলো সমাধান করে সঠিক উত্তরটি বাছাই করতে হবে। এর মধ্যে অনেক ম্যাথের জন্য আলাদা ভাবে ডাটা দেয়া থাকবে। যেখান থেকে তথ্য নিয়ে ম্যাথ সমাধান করতে হবে।
এই প্যাটার্নে ৮টি ম্যাথ থাকবে। যেগুলো গ্রিড-ইন টাইপ প্রশ্ন (অংক করে খালি ঘরে উত্তর লিখতে হবে) হয়।
SAT পরীক্ষায় সর্বনিম্ন স্কোর ৬০০ এবং সর্বোচ্চ স্কোর ২৪০০। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির আবেদনের জন্য কোনো ন্যূনতম স্কোরকে আবশ্যক হিসেবে উল্লেখ করা হয় না, তবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর স্কোর ২০০০ থেকে ২৪০০-এর মধ্যে হয়ে থাকে।
SAT এর জন্য প্রস্তুতি:
ভালো এবং পরিকল্পিতভাবে পড়া ছাড়া স্যাটে ভাল ফলাফল করার উপায় নেই। তাই শুরুতেই আপনি নিজের টার্গেট স্কোরটি ঠিক করে নিন এবং সে অনুসারে পড়া শুরু করে দিন। সাধারণত একাদশ শ্রেণি থেকে স্যাটের প্রিপারেশন নেওয়াটা সুবিধাজনক। নিজের সুবিধামত একটা সময় থেকে প্রিপারেশন নেওয়া শুরু করুন, কেননা স্যাট এক্সাম বছরের যেকোনো সময়েই দেওয়া যায়।
অফিশিয়াল স্যাট স্টাডি গাইড, ব্যারন’স, ব্যারন’স, প্রিন্সটন রিভিউ, কাপলান, গ্রুবার’স, ম্যাকগ্র-হিল ইত্যাদি বইয়ের সাহায্য নিয়ে স্যাট পরীক্ষার জন্য নিজেকে তৈরি করা যায়।
এসব বইয়ের সবই ঢাকার নীলক্ষেতে পাওয়া যায়। তা ছাড়া বারিধারায় অবস্থিত আমেরিকান সেন্টারের লাইব্রেরিতেও রয়েছে স্যাটের প্রস্তুতিমূলক বইয়ের চমৎকার সংগ্রহ, যা লাইব্রেরিতে বসে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
এইসব সহায়ক বই ছাড়াও নিয়মিত ইংরেজি বই ও পত্রিকা পড়ার অভ্যাসও আপনাদের গড়ে তোলা উচিত৷
অনুশীলনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ বোর্ড থেকে প্রকাশিত অফিশিয়াল স্যাট বইয়ের প্র্যাকটিস টেস্ট অনুসরণ করা যেতে পারে। Critical Reading এ দুটি অংশ থাকে, একটি হলো সেনটেন্স কমপ্লিশন এবং কমপ্রিহেনশন। সেনটেন্স কমপ্লিশন অনেকটা শূন্যস্থানের মতো হয়। প্রশ্নপত্রে দেওয়া অপশন থেকে উত্তর দিতে হয়। এখানে ভালো করতে হলে পছন্দের টপিক অনুসারে প্রচুর বই পড়তে হবে। নতুন শব্দ পেলে তা নোটবুকে সব ধরনের অর্থসহ (Synonym, antonym) টুকে রাখতে হবে। পরবর্তী সময়ে অনুশীলন করতে হবে। কমপ্রিহেনশনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে সমস্যা হয় সবারই। তাই প্রথমে প্রশ্ন ভালভাবে পড়ে প্যাসেজের মধ্যে উত্তরগুলো পেন্সিল দিয়ে দাগিয়ে নিয়ে লিখা শুরু করতে হবে।
রচনার মাধ্যমে Writing পার্টটা শুরু হয়। রচনা সাধারণত যুক্তিনির্ভর এসে থাকে৷ যেমন: ‘’ইন্টারনেট আশির্বাদ নাকি অভিশাপ’৷ এই ক্ষেত্রে দুই পক্ষেরই যুক্তি দেখাতে হবে। এবং এই রচনা অংশের নম্বর প্রায় দেড়শের কাছাকাছি হয়। তাই উদাহরণ দিয়ে দুই পৃষ্ঠার মধ্যে সবরকম অপ্রয়োজনীয় কথা বাদ দিয়ে রচনা লিখে শেষ করতে হবে৷ নাহলে বেশ ভাল নম্বর হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।
এরপর আছে ভুল বাক্যকে শুদ্ধ করা ও ভুল চিহ্নিত করা৷ আর প্রথম দিকের অংকগুলো সহজই হয়, সেগুলো খুব দ্রুতই করা যাবে।
SAT একটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল পরীক্ষা। তাই ভালভাবে প্রিপারেশন নিয়েই এই পরীক্ষায় বসা উচিত। SAT পরীক্ষার মোট সময় ৩ ঘন্টা। আর অপশনাল হিসেবে থাকা Essay সেকশনে অংশ নিলে মোট সময়ের সাথে আরও ৫০ মিনিট যোগ হবে।
স্যাট দেওয়ার জন্য প্রথমেই SAT এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে (www. collegeboard. org) গিয়ে অনলাইনে নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। পরীক্ষা দেওয়ার কমপক্ষে এক মাস আগে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা জরুরি। বাংলাদেশে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য খরচ পড়বে ৯২ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে সাত হাজার টাকা। এ ছাড়া রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজন হবে পাসপোর্ট এবং পাসপোর্ট সাইজ ছবির ডিজিটাল কপি। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, পাসপোর্ট ছাড়া অন্য কোনো ধরনের শনাক্তকারী পরিচয়পত্র গ্রহণযোগ্য নয়।
রেজিস্ট্রেশন করার পর ওয়েবসাইট থেকে যে প্রবেশপত্র দেওয়া হবে তাতে পরীক্ষার দিন, সময় ও কেন্দ্র উল্লেখ করা থাকবে। পরীক্ষার দিন পরীক্ষার্থীকে প্রয়োজনীয় আরও কী কী নিয়ে যেতে হবে তাও বলা থাকবে প্রবেশপত্রে।
১. https://www.prothomalo.com/amp/education/article/512695/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8
২. http://www.kalerkantho.com/amp/print-edition/campus/2015/02/11/186482
৩. http://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/Rusafie/29114250
৪. http://hsa.grecbd.com/structureofsatandsamplequestion-2/
৫. https://www.prothomalo.com/amp/education/article/529465/%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%AB%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%AC
বিদেশে উচ্চশিক্ষা? জেনে নিন করণীয়! (পর্ব ৪- GRE)
IELTS, TOEFL ও SAT পরীক্ষাপদ্ধতি সম্পর্কে তো বেশ বিশদভাবে জানা হলো, এবার জানা যাক বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় আরো ১টি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা সম্পর্কে। আর তা হলো GRE.
GRE:
GRE হলো Graduate Record Examination, একটি সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড পরীক্ষা যা অনেক দেশের অনেক ইউনিভার্সিটিতে (বিশেষ করে উত্তর আমেরিকাতে) গ্র্যাজুয়েট স্টাডি (মাস্টার্স বা পিএইচডি) করার জন্য প্রয়োজন। এটি মূলত এডুকেশনাল টেস্টিং সার্ভিস (ETS) –এর একটি রেজিস্টার্ড এডুকেশনাল ব্র্যান্ড, তাই একে লেখা হয় GRE®। আমেরিকার ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে (ব্যাচেলর ডিগ্রির পর এমএস/ পিএইচডি প্রোগ্রাম) ভর্তির জন্য GRE অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। প্রধানত science & arts ব্যাকগ্রাউন্ড এর স্টুডেন্টদের জন্য এই পরীক্ষা দিতে হয়।
তবে আপনি যদি GRE করেন, তবুও আপনাকে IELTS/ TOEFL পরীক্ষা দিতে হবে। GRE এর মাধ্যমে দেখা হয় যে, আপনি বাইরের দেশে গ্রাজুয়েশন করার জন্য দক্ষ বা তৈরি কিনা।
GRE এর প্রকারভেদ:
GRE কে সাধারণত দুইটি ভাগে ভাগ করা যায়। আর তা হলো বিষয়টভিত্তিক GRE এবং সাধারণ GRE।
সাধারণত নিম্নলিখিত আটটি বিষয়ের উপর বিষয়ভিত্তিক GRE টেস্ট দেয়া যায়:
১। প্রাণরসায়ন (Biochemistry), কোষ এবং আণবিক জীববিজ্ঞান (Cell and Molecular Biology)
৫। ইংরেজি সাহিত্য (Literature in English)
কেউ চাইলে এর যেকোনো বিষয়ের উপর বিষয় ভিত্তিক GRE টেস্ট দিতে পারবেন। আর সাধারণ GRE –এর অন্তর্ভূক্ত বিষয়গুলো হল-
Verbal Reasoning:
এই টেস্টের মাধ্যমে দেখা হবে পরীক্ষার্থীর ইংরেজী শব্দ ও বাক্যের উপর দক্ষতা কতটুকু এবং কেমন। ইংরেজীতে আর্টিকেল লিখা থাকবে, সেই আর্টিকেলের বিষয়বস্তুগুলোকে (বাক্য) বিভিন্ন ভাগে ভাগ করতে হবে, এরপর প্রতিটি ভাগকে বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করতে হবে (শব্দগুলোর সাথে বিষয়বস্তুর সম্পর্ক বের করতে হবে)।
সুখবর হচ্ছে, সায়েন্সের প্রোগ্রামগুলোতে ভারবাল স্কোরটা খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে না। মোটামুটি ভারবালে ৮০০-র মধ্যে ৫০০-৫৫০ পেলেই ভাল প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যায়। তবে হিউমেনিটিজ বা আর্টসের সাবজেক্টগুলোতে ভারবাল গুরুত্বপূর্ণ। তাই স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য তাদের অন্তত ৬০০+ পাওয়া প্রয়োজন।
Verbal এ ৪ ধরণের প্রশ্ন থাকে। Sentence Completion, Anatomies, Analogy, Reading Comprehension. চারটার মধ্যে তিনটাই সরাসরি আপনার ভোকাবুলারি স্কিলসের উপর ডিপেন্ড করে। তাই ভোকাবুলারি হলো GRE-র Verbal এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
Quantitative Reasoning:
এই অংশকে ম্যাথ সেকশনও বলা হয়। এই টেস্টের মাধ্যমে দেখা হবে পরীক্ষার্থীর গাণিতিক মৌলিক ধারণা এবং পরিমাণগত বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে বীজগণিত, জ্যামিতি ও তথ্য বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা।
এখানে হাইস্কুল লেভেলের Arithmetic, Algebra, Geometry, Word Problem- এসব আসে। মোট ২৮টা প্রশ্নের ৪৫ মিনিট সময় থাকবে। এই সেকশনে তিন ধরণের প্রশ্ন থাকে। Problem Solving, Quantitative Comparison আর Data Interpretation.
Analytical Writing Skills:
এই টেস্টের মাধ্যমে দেখা হবে পরীক্ষার্থীর যে কোনো ধরনের জটিল সমস্যা স্পষ্টভাবে ও সকল বিষয়াদি বিবেচনাধীন রেখে সমাধান করা। এই সমাধান পরিষ্কার ইংরেজীতে লিখতেও হবে।
এখানে আপনাকে দুইটি রচনা লিখতে বলা হবে। একটা Analysis of Issue, আরেকটি Analysis of Argument । GRE তে ইস্যুর জন্য ৪৫ মিনিট আর Argument এর জন্য ৩০ মিনিট সময় থাকে। রচনাগুলো লেখার পর ১০ মিনিটের ব্রেক আছে।
টুকিটাকি বই পত্র:
GRE এর প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ৪ মাস হলো যথেষ্ট সময়। তবুও আপনি নিজের ভালো বুঝে সঠিক সময়ে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিবেন। রাজধানীর নীলক্ষেতে হেন বই নেই, যা আপনি পাবেন না। সেখান থেকেই
এই কয়টি বই অনুশীলন করার মাধ্যমেই আপনি প্রায় পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
যেমন হবে প্রস্তুতি:
প্রথমেই নীলক্ষেত থেকে Word Smart I & II বইটি কিনে নিবেন, দাম ৮০ টাকার মতন পড়বে। এই বইয়ে মোট ১৫২৩ টা শব্দ আছে আর আছে ১০০টার মতো কুইজ স্লট। প্রতিটি শব্দের বিভিন্ন প্রয়োগ দেখিয়ে উদাহরণ দেয়া আছে, সমার্থক আর বিপরীতার্থক শব্দও দেয়া আছে।
সুতরাং এই বইটা পড়ার সময় আসলে অন্য কোন ডিকশনারি দেখারই দরকার নেই। তবে কম্পিউটারে Encarta Dictionary টা থাকা উচিত, আর Word Web Dictionary. GRE পড়ুয়াদের জন্য এই দু’টা খুব জরুরী। কোন শব্দের স্পেসিফিক অর্থ জানার জন্য Encarta আর তাৎক্ষণিক সাহায্যকারী হিসেবে কাজে আসবে Wordweb। আর কিনতে হবে Barron’s GRE । নিয়মিত পড়া শুরু করতে হবে ইংরেজি পত্রিকা, পারলে ইন্টারনেটে Wall Street Journal অথবা New York Times। ওয়ার্ড ওয়েব এই সমস্ত রিডিং ম্যাটেরিয়ালসে সহজ এক্সেস দেবে; ঐ ডিকশনারি চালু থাকলে যে কোন শব্দের উপর মাউস রেখেctrl+right click করলেই ওই শব্দের বিশদ অর্থ দেখাবে।
Word Smart থেকে একই অর্থ প্রকাশ করে এমন শব্দগুলো আলাদা করে নিয়ে পড়লে, মনে রাখতে বেশ সুবিধা হয়। প্রতিদিন অন্তত ৪০টি নতুন শব্দ শিখে নিজের ভোকাবুলারির ভান্ডার বৃদ্ধি করতেই হবে। এইভাবে টানা একমাস শিখলে দেখা যাবে ১০০০ টিরও বেশি শব্দ আপনার আয়ত্তে চলে এসেছে।
এরপর Barron’s Big Book এবং Nova’s GRE and Kaplan’s GRE বই দুটি কিনে ফেলুন। বইটির শেষদিকে কিছু শব্দের লিস্ট আছে। পজিটিভ-নেগেটিভ; ভাল-মন্দ, দীর্ঘ-নাতিদীর্ঘ এই ভাবে কম্পেয়ার করা হয়েছে প্রতিটি শব্দ। সে তালিকাটা মনোযোগ দিয়ে পড়লে অনেক ক্ষেত্রে আপনি ওয়ার্ডের সঠিক অর্থ না জানলেও শুধু পজিটিভ-নেগেটিভ সেন্স দিয়ে সঠিক অর্থ গেস করতে পারবেন। সেজন্য ওয়ার্ডের সেন্সটা ডেভেলপ করা খুব দরকারি।
আর এ সময় প্রতিদিন বিগবুক থেকে একটা করে ফুল সেট মডেল টেস্ট সলভ করতে ভুলবেন না। এর পাশাপাশি কম্পিউটারে প্রতিদিন একটা করে মডেল টেস্ট দিতে পারেন। ইন্টারনেটে অনেক সফটওয়্যার পাওয়া যায়, যেমন Power Prep, Cambridge GRE, GRE Bible ইত্যাদি। এগুলোর প্রত্যেকটি থেকে দিনে একটি করে মডেল টেস্ট সলভ করতে থাকুন। দেখবেন অনেক কিছুতে আপনার আগের চেয়ে বেশি উন্নতি ঘটেছে।
Maths এর জন্য Nova’s GRE যথেষ্ট; এর মডেল টেস্ট এবং এক্সারসাইজগুলো করলে GRE Math আপনার কাছে অনেক সহজ লাগবে । তবে পরীক্ষার হলে যাবার পনেরো দিন আগে থেকে Dr. Raju’s GRE থেকে GRE এর ম্যাথ অংশের প্রশ্নগুলো দেখে নিলে ভাল হয়। GRE তে একটু ভাল মতন ম্যাথ প্র্যাক্টিস করলেই সেখানে ভাল নম্বর তোলা সম্ভব। আর যারা ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়তে যাচ্ছেন, তাদের জন্য ম্যাথ সেকশনে ভালো স্কোর করা অত্যাবশ্যক। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য একটা মিনিমাম স্কোর সেট করে দেয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই স্কোরটা ৭৫০ বা তার উপরে। সুতরাং ম্যাথের দিকে একটু বেশিই মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
GRE এর মানবন্টন খুব একটা সোজাসাপ্টা না। টেস্টে স্কোর দেয়া হয় পার্সেন্টেজের ভিত্তিতে। ধরা যাক, সর্বপ্রথম এমন একটা প্রশ্ন দেয়া হলো যা টেস্ট টেকারদের প্রায় ৫০ পার্সেন্ট পারে, আপনিও সে প্রশ্ন পারলেন; সে ক্ষেত্রে পরের প্রশ্নটা আসবে আরেকটু কঠিন, ধরা যাক ৪০ পার্সেন্ট পারে এমন প্রশ্ন, সেটাও পারলেন এবার ৩০ শতাংশ পারে তেমন; সেটা ভুল করলেন এবার আবার ৪০ পার্সেণ্টের প্রশ্ন। এভাবে আপনার পারফর্মেন্সের উপর ভিত্তি করে প্রশ্ন এসে থাকে।
তাই এখানে কয়টা সঠিক উত্তর দিলেন তার ভিত্তিতে সরাসরি স্কোর হিসেব করা সম্ভব নয়। প্রশ্নের মেধা এবং উত্তরের সঠিকতার ভিত্তিতে স্কোর দেয়া হয়। একারণে যে কোন সেকশানেই প্রথম দশটি প্রশ্ন খুব গুরুত্বপূর্ণ; এগুলোর মাধ্যমে মোটামুটি আপনার পার্সেন্টেজ নির্ধারিত হয়ে যায়। এরপর শুধু সেই পার্সেন্টেজের প্রশ্ন দিয়ে যোগ্যতা যাচাই চলে; তাই প্রথম দশটি প্রশ্ন সমাধানে প্রয়োজনে বেশি সময় নিন।
যেভাবে দেবো GRE:
প্রথমে www.gre.org তে গিয়ে সাইন আপ করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এরপর ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এইজন্য আপনাকে দিতে হবে ১৮৫ ডলার (প্রায় ১৪,৮০০ টাকা)। আর আবার পরীক্ষা দিতে চাইলে আপনাকে ৫০ ডলার গুণতে হবে। সাধারণত পরীক্ষার ১ মাস পরেই আপনি আপনার রেজাল্টের হার্ড কপি ডাক মারফত পেয়ে যাবেন। প্রথম ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনি বিনামূল্যে আপনার স্কোর পাঠাতে পারবেন, এরপর প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আপনাকে ২৫ ডলার করে দিতে হবে।
আমেরিকান অ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন
বাসা নং- ১৪৫, রোড নং- ১৩বি, ব্লক- ই,
ই-মেইলঃ [email protected]
সপ্তাহে তিন দিন এই পরীক্ষা কেন্দ্র বন্ধ থাকে- শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার। বাকি চার দিন এখানে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। দুইটি সেশনে পরীক্ষা নেয়া হয়: সকাল ৯.০০ মিনিটে এবং দুপুর ১.৩০ মিনিটে। দিনে দুইবার করে সপ্তাহে চার দিন পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ থাকলেও একজন পরীক্ষার্থী মাসে শুধু একবার এবং বছরে মাত্র পাঁচবার পরীক্ষা দিতে পারবেন। এর বেশি তাকে পরীক্ষা দিতে দেয়ার সুযোগ দেয়া হয় না।
GRE দেওয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ? ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির জন্য শুধুমাত্র সিজিপিএ আর IELTS/TOEFL স্কোর হলেই চলে। কিন্তু আমেরিকা, কানাডার ইউনিভার্সিটিগুলো জানে, শুধু সিজিপিএ কারো যোগ্যতার মাপকাঠি হতে পারেনা। তাই যাদের সিজিপিএ কম, তাদের জন্য এটা বেশ সুখবর। নিজের যোগ্যতা প্রমাণের আরো একটা সুযোগ আছে আপনাদের জন্য।
প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতির সাথে GRE এর কিছু পার্থক্য:
২০১১ সালের অগাস্ট মাসের আগে GRE পরীক্ষায় Computer Adaptive Test (CAT) ব্যবহৃত হত। CAT এর ফলে কম্পিউটার আপনার উত্তরের উপর নির্ধারণ করবে যে পরবর্তীতে আপনাকে কেমন প্রশ্ন দেবে। আপনি যদি কোন প্রশ্নের উত্তর ভুল করেন তাহলে পরেরটা সহজ এবং কোনটা সঠিক হলে পরেরটা একটু কঠিন হতো। কিন্তু বর্তমান GRE তে CAT ব্যবহৃত হয় না। বরং এখানে Multi-Stage Testing (MST) ব্যবহৃত হয় । বর্তমানে দুটি ভার্বাল ও দুটি ম্যাথ সেকশন থাকে। যদি প্রথম ভার্বাল অংশটায় আপনার পারফর্ম্যান্স ভালো হয় তাহলে পরেরটা কঠিন হবে, এবং বিপরীতক্রম। একই কথা সত্য ম্যাথ অংশের জন্যও।
স্কুল-কলেজের পরীক্ষায় আপনি প্রশ্ন দেখেই বুঝতে পারতেন যে কোন প্রশ্নের জন্য কত মার্কস। কিন্তু GRE তে ঠিক এভাবে প্রশ্নের মানবন্টন জানা যায় না। আপনার সামগ্রিক পারফর্ম্যান্স বিবেচনা করে কম্পিউটার একটি স্কোর দাঁড় করায়, যা নির্দিষ্ট সূত্র মেনে চলে।
পরীক্ষার হলে কক্ষপরিদর্শক বা ইনভিজিলেটররা থাকেন। পরীক্ষার হলে একটি সাইবার ক্যাফের মতো রুমে সবাইকে আলাদা আলাদা কম্পিউটারের সামনে বসিয়ে দেওয়া হয়, এবং ইনভিজিলেটররা বাইরের রুমে থাকেন। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কর্মকাণ্ড তারা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় দেখতে পারেন।
প্রচলিত পরীক্ষায় ভাবমূলক বা সাবজেকটিভ ধরণের প্রশ্ন থাকতে পারে, যার উত্তর এক এক রকম হলে মার্কস ও এক এক রকম হতে পারে। অ্যানালাইটিক্যাল রাইটিং অংশ ছাড়া ম্যাথ ও ভার্বাল অংশের সব প্রশ্নই অবজেকটিভ ধরণের হবে, অর্থাৎ এক বা একাধিক উত্তর থাকবে কিন্তু ঠিক ওগুলোই সঠিক উত্তর। এক এক জন একেক রকম উত্তর দিয়ে সঠিক মার্কস পেতে পারবে না।
সূত্র:
http://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/ferdous2012/29919858
https://www.discoverbusiness.us/resources/gre/
বিদেশে উচ্চশিক্ষা: জেনে নিন করণীয়! (পর্ব ৫-GMAT)
আমরা চলে এসেছি পরীক্ষা সংক্রান্ত আলোচনার একদম শেষ ধাপে। আর এই শেষ ধাপে আজকে আমি GMAT পদ্ধতি নিয়ে কথা বলবো!
GMAT:
GMAT হলো Graduate Management Admission test, যা GRE এর মতোই একটি Standardized Test- যা আমেরিকাতে MBA করার জন্য প্রয়োজন হয়। যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ার মত অন্যান্য কিছু দেশে পড়াশুনার জন্যেও GMAT দিতে হয়। এটার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে প্রয়োজন প্রায় ২৫০ ডলার। একবার পরীক্ষা দিলে ৫টা ভার্সিটিতে ফ্রি স্কোর পাঠানো যায়, এবং স্কোর valid থাকে ৫ বছর পর্যন্ত।
সব মিলিয়ে ৮০৬ নম্বরের পরীক্ষা, ৬৫০ এর উপর নম্বর পেলেই তা ভাল স্কোর বলে বিবেচিত হয়।
জিম্যাট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট- www.mba.com
Structure of GMAT:
GMAT পরীক্ষায় স্থিতিকাল ৩ ঘন্টা ৩০মিনিট। পরীক্ষা চারটি আলাদা সেকশনে ভাগ করা। যেমন-
Analytical Writing Assessment- ৩০ মিনিট
Integrated Reasoning- ৩০ মিনিট
Quantitative Section- ৭৫ মিনিট
জিম্যাট পরীক্ষার মোট নম্বর হচ্ছে ২০০-৮০০ এর মধ্যে এবং কোয়ানটিটেটিভ ও ভারবাল বিভাগের নম্বর এক সাথে বিবেচনা করা হয়। এনালিটিকাল রাইটিং এসেসমেন্টের ও ইন্টিগ্রেটেড রিজনিং বিভাগের নম্বর মোট নম্বরেরে সাথে বিবেচনা করা হয় না। এ দুই বিভাগ ভিন্ন ভাবে বিবেচনা করা হয়। মোট নম্বর ১০ করে বৃদ্ধি করা হয়। যেমন- ৫৫০,৫৬০,৫৭০।
GMAT পরীক্ষায় চারটি আলাদা সেকশন মিলিয়ে মোট ৯১ টি প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। যেমন-
Analytical Writing Assessment- ১ টি
Analytical Writing:
যারা GRE এর writing section এর সাথে পরিচিত, তাদেরকে নতুন করে আর কিছু জানা লাগবে না। দুটো essay লিখতে হবে। একটি Issue Task, আরেকটা Argument Task. প্রত্যেকটার জন্য সময় থাকবে ৩০ মিনিট করে।
Verbal:
Verbal section এ সব মিলিয়ে প্রশ্ন থাকবে ৪১টা, সময় ৭৫ মিনিট। অর্থাৎ প্রত্যেক প্রশ্নের জন্য প্রায় দুই মিনিট এর মনত সময় পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৩ ধরনের প্রশ্ন থাকতে পারে।
Reading Comprehension- মোটামুটি ৩৫০ শব্দের একটা passage থাকবে। ওখান থেকে আপনাকে বুঝে নিতে হবে অনুচ্ছেদের main or supporting idea কি, লেখক কি বোঝাতে চাইছেন, যে বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে- লেখক সেটার প্রতি কতটুকু soft corner পোষণ করেন ইত্যাদি।
Sentence Correction – একটা লাইনের কিছু অংশ underline করা থাকবে। নিচের ৫টা অপশনে ঐ underlined অংশটা বিভিন্নভাবে rephrase করে বলা হবে। যেটা সবচেয়ে শুদ্ধ, সেটাই সঠিক উত্তর। প্রথম অপশনটা underlined অংশের পুরোপুরি নকল। Original Line পড়তে গিয়ে ওটা আপনার পড়া হয়ে যাবে; তাই সেটা পড়তে যেয়ে সময় নষ্ট করবেন না।
Critical Reasoning – একটা ছোট প্যারাগ্রাফ থাকবে। এরপর ঐ প্যারাগ্রাফের ব্যাপারে একটা question বা statement থাকবে, তার নিচে পাঁচটা অপশন থাকবে। ঐ পাঁচটা অপশনের মধ্যে কোনটা প্যারাগ্রাফের assumption অথবা বিশেষ কোন দিককে দুর্বল/সবল করে দেয়, সেটা বের করতে হবে।
Quantitative:
এটা হলো Math section. দুই ধরণের প্রশ্ন মিলিয়ে মোট ৩৭টা প্রশ্ন, সময় ৭৫ মিনিট; প্রত্যেকটার জন্য প্রায় ২ মিনিট করে। এখানে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।
Problem Solving – পাঁচটা অপশনের মধ্যে থেকে একটা সঠিক উত্তর বেছে নিতে হবে। এ ধরনের প্রশ্ন থাকতে পারে ১৮ টা বা ১৯টা।
Data Sufficiency- এখানেও ১৮/১৯ টার মত থাকতে পারে। একটা প্রশ্ন আর দুইটা statement (1 & 2) দেয়া থাকবে। ঐ প্রশ্নটার উত্তর দেয়ার জন্য ইনফর্মেশন গুলো কতটুকু প্রয়োজন হয়, সেটার ওপর ভিত্তি করে A, B, C, D, E সিলেক্ট করতে হবে।
Integrated Reasoning:
২০১২ সালের জুনে একটি নতুন সেকশন যুক্ত হয়েছে, যা হলো Integrated Reasoning. ৩০ মিনিটের সেকশন, যেখানে ম্যাথ আর ভার্বাল এর যৌথ উদ্যোগ এর প্রয়োজন হয়। Data, Chart, Graph- একত্রে বিশ্লেষণ করতে হয়। শুনতে কঠিন মনে হলেও জিনিসটা অন্যান্য সেকশন থেকে সোজা।
Table Analysis: টেবিলে তথ্য সাজানো থাকবে। সেই তথ্যের আলোকে নিচে কয়েকটি অপশন দেওয়া হবে। আপনার কাজ হবে সেই অপশন থেকে সঠিক উত্তর বেছে নেওয়া।
Graphics Interpretation: একটি গ্রাফ দেওয়া থাকবে আর থাকতে কিছু তথ্য এই তথ্যের আলোকে কয়েকটি ফাঁকা ঘরে আপনার উত্তর বসাতে হবে।
Multi-Source Reasoning: তিনটি প্যাসেজ থাকবে। তিনটি প্যাসেজে তিন রকম ঘটনা বলা হবে। এসব প্যাসেজের আলোকে সত্য মিথ্যা যাচাই করতে হবে।
Two-Part Analysis: একই প্রশ্নে একই সাথে দুইটি অংশ থাকবে, আপনাকে সেটা বিশ্লেষণ করে উত্তর দিতে হবে।
যেহেতু এটা Computer Adaptive Test, প্রত্যেক প্রশ্নের সাপেক্ষে আপনার উত্তরের ওপর নির্ভর করে পরবর্তী প্রশ্ন সামনে আসবে। তাই, আপনি পেছনের প্রশ্নগুলোতে ফেরত যেতে পারবেন না। কোন প্রশ্ন বাদ রাখা যাবে না। সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দেয়া খুবই জরুরী। ভুল করলে যতটুকু নাম্বার কাটা যাবে, খালি রেখে আসলে কাটা যাবে আরো অনেক বেশি। তাই, টাইম সেন্স ঠিক রাখবেন।
GMAT এর বইপত্তর:
১. Princeton Review Cracking The GMAT
৩. Official Guide for The GMAT (11th Edition)
৪. সাইফুর’স জিম্যাট প্রস্তুতি সিরিজ
উপরের সব বইগুলো নীলক্ষেতেই পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে দাম পড়বে ৪০০-৫০০ টাকা।
GMAT এর জন্য কমপক্ষে ৬ মাস ধরে প্রস্তুতি নেওয়া ভাল। কেননা অনেকে ইংরেজিতে দক্ষ হয়েও পরীক্ষায় ভাল নম্বর তুলতে ব্যর্থ হন। প্রথমে আপনাকে শুরু করতে হবে Princeton Review Cracking The GMAT এবং Kaplan GMAT Math Workbook দিয়ে। Princeton আপনাকে জিম্যাট সম্পর্কিত সব বেসিক ইনফরমেশান, ডাটা সাফিসিয়েন্সির বিশেষ টেকনিক, সব বিষয়ে স্ট্র্যাটেজির বিশেষ ধারণা দিবে। Kaplan GMAT Math Workbook আপনাকে GMAT এর ম্যাথের সাথে ভালমতে পরিচয় করিয়ে দিবে। প্রিন্সটন বইটা আপনাকে ১০/১২ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।
প্রিন্সটন পড়া হলে আপনি পাওয়ারপ্রেপের ক্যাট-১ পরীক্ষাটা দিবেন। পাওয়ারপ্রেপ -১ এ আপনার কয়টা ভুল হল, কি কি প্রবলেম ভুল হল, কোন সাইডে উইকনেস বেশি এসব বিষয় খেয়াল করতে হবে। পরবর্তীতে এসব বিষয়ের উপর একটু বেশি জোর দিতে হবে। এরপরে আপনি নেক্সট ১ মাস সাইফুর’স জিম্যাট সিরিজের সেনটেন্স কারেকশান, ক্রিটিক্যাল রিজনিং, রিডিং কমপ্রিহেনশান আর ম্যাথ টেকনিক বইগুলা পড়তে থাকুন। নিয়মিত প্রতিদিন ৩/৪ ঘন্টা পড়ুন। ১ মাসের মধ্যে আপনার স্কিলস অনেক বাড়বে। আপনি এগুলো শেষ হওয়ার পর পাওয়ার প্রস্তুতি ক্যাট-২ দিবেন। এতে দেখবেন আপনার স্কোর ক্যাট-১ থেকে অন্তত ১০০ বাড়বে। প্রথমটাতে ৪৫০ পেলে এটাতে ৫৫০+ পাওয়ার কথা।
এরপরের ১ মাস আপনি Official Guide পড়বেন। অফিসিয়াল গাইডকে বাইবেল অফ GMAT বলা হয়। কারণ অফিসিয়াল গাইড যদি ভালমতে বুঝেন, সব প্রশ্ন করেন, সব এক্সপ্লানেশান ভালমতে পড়েন তাহলে আপনি জিম্যাটে ভাল করবেন সেটা গ্যারান্টিড। অফিসিয়াল গাইডের সেনটেন্স কারেকশান ৩ বার, ক্রিটিকাল রিজনিং আর রিডিং কম্প্রিহেনশান ২ বার, ডাটা সাফিসিয়েন্সির শেষের ৭০ টা আর প্রবলেম সলভিংয়ের শেষের ১০০টা প্রশ্ন ২/৩ বার করতে হবে। ডিটেল এক্সপ্লানেশান ভালমতে পড়তে হবে এবং নোট নিতে হবে।
অফিসিয়াল গাইড ৩/৪ ভাগ শেষ হলে আপনি জিম্যাট প্রস্তুতি প্র্যাকটিস টেস্ট -১ দিবেন। আপনার আসল পরীক্ষা আর জিম্যাট প্রস্তুতি পরীক্ষা একদম একই। জিম্যাট প্রস্তুতি -এ আপনি যত পাবেন আসল পরীক্ষায় তার আশে পাশেই পাবেন। অফিসিয়াল গাইড সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার পর আপনি জিম্যাট প্রস্তুতি -২ দিবেন। আপনার হাতে পরীক্ষার আগে আর ১৫/২০ দিন থাকার কথা। এসময়ে সাইফুর’স জিম্যাট ভারবাল আর ম্যাথ টেস্টপেপারস পড়তে থাকুন। প্রতিদিন ২টা করে প্রশ্ন সেটা সলভ করেন। এক্সপ্ল্যানেশান পড়তে থাকেন। আর জিম্যাট প্রস্তুতি ২টাই দেওয়া হয়ে যাওয়ার পর আনইনস্টল করে রিইনস্টল করেন আর বারবার দিতে থাকেন।
বাংলাদেশে জিম্যাট এর পরীক্ষা কেন্দ্র:
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভারসিটি অফ বাংলাদেশ
কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩
পরীক্ষার সময়:
সোমবার- শুক্রবার, সপ্তাহে ৫ দিনে এবং প্রতিদিন দুইটি সেশনে পরীক্ষা নেয়া হয়।
৩১ দিনের মধ্যে ১ বারের বেশি পরীক্ষা দেয়া যায় না এবং বছরে সর্বোচ্চ ৫ বার পরীক্ষা দেয়া যায়।
রেজিস্ট্রেশন ও পেমেন্ট সিস্টেম:
রেজিস্ট্রেশনের জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে। তাছাড়া অ্যামেরিকান সেন্টার থেকেও সংগ্রহ করা যাবে।
হাউস#১১, রোড#২৭ বনানী, ঢাকা-১২১৩
ই-মেইল – [email protected]
রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করে ফরমটি ২৫০ ডলারের ব্যাংক ড্রাফটের সাথে নিচের ঠিকানায় পাঠাতে হবে।
Minneapolis, MN, 55458-1907, USA
জিম্যাট ঢাকা সেন্টারের থেকে চেক সংগ্রহ করে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠান যায়।
কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩
GMAT এর জন্য খরচসমূহ:
টেস্টের জন্য দেওয়া লাগবে ২৫০ ডলার, রি-শিডিউলিং অর্থাৎ পুনরায় পরীক্ষা দিতে চাইলে ৫০ ডলার দিতে হবে এবং পরীক্ষা বাতিল করার জন্য ৮০ ডলার করে গুনতে হবে৷ আর আপনার স্কোর রিপোর্ট ফি হলো ২৮ ডলার।
রি-শিডিউলিং এর ক্ষেত্রে পরীক্ষার ৭ দিন আগে জানাতে হবে। ক্যান্সেলেশন রিফান্ড পেতে হলে পরীক্ষার ৭ দিন আগে ক্যান্সেল করতে হবে। ৭ দিন পার হলে কোন রিফান্ড পাওয়া যাবে না। ফোন কল করে ক্যান্সেল করলে ১০ দলার অতিরিক্ত চার্জ করা হবে।
পেমেন্টের ধরণ:
ক্রেডিট কার্ড ( visa, Master card, American Express, JCB)
ডেবিট কার্ড (visa, Master card)
GMAT এর বৈশিষ্ট্য:
এটি কম্পিউটার ভিত্তিক অনলাইন পরীক্ষা।
GMAT পরীক্ষা হয় computer Adaptive Test বা CAT পদ্ধতিতে। এ পদ্ধতিতে একজন প্রার্থীর প্রশ্নের উত্তরের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রশ্নের ধরন নির্ভর করে। যেমন কোন প্রার্থী যদি কোন প্রশ্নের ভুল উত্তর দেয় তাহলে পরবর্তী প্রশ্নটি সহজ হবে। আবার প্রশ্নের উত্তর সহজ হলে পরবর্তী প্রশ্ন কঠিন হবে।
http://nextopusa.com/all_about_gmat/
http://kholabakso.weebly.com/haatekhori/gmat_details2
http://hsa.grecbd.com/gmatstructure/
বিদেশে উচ্চশিক্ষা: জেনে নিন করণীয় ( শেষ পর্ব)
বিদেশে কেন পড়তে যাবেন তা তো ঠিক করা হয়ে গেল, সেই সাথে জানা হয়ে গেল পরীক্ষা সম্পর্কেও। এখন তাহলে কী করতে হবে? কী আর করতে হবে, প্লেনের টিকিট কেটে উড়াল দিতে হবে! হ্যাঁ, তা তো বটেই! কিন্তু এই উড়াল দেওয়ার আগের কিছু কাজও তো সেরে নিতে হবে। যেমন: পাসপোর্ট তৈরি, ভিসা সংগ্রহ, ক্রেডিট ট্রান্সফার ইত্যাদি। তাহলে চলুন ধারাবাহিকভাবে সেগুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
ক্রেডিট ট্রান্সফার:
আমার এক বোন দেশেরই এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানের উপর মাস্টার্স করছে। কিন্তু সে এখন চাচ্ছে এই বিষয়ের উপর বাইরের দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করতে। সেক্ষেত্রে দেশে সম্পন্নকৃত কোর্সটির ক্রেডিট সমূহ গ্রহন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের নিকট অব্যাহতি পত্র দাবি করতে পারেন। আর এটাকেই বলা হয় ক্রেডিট ট্রান্সফার। আপনার আগে থেকে করা কোর্সটির জন্য কতটুকু ক্রেডিট পাবেন তা নির্ধারন করবে ঐ বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। আপনাকে কিছু কাগজ পত্রের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে যে আপনার করা কোর্সটি কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করা এবং এই বিষয়সমূহ বিদেশের ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভূক্ত বিষয়টির অনুরূপ। ক্রেডিট ট্রান্সফারের জন্য যেসকল কাগজ পত্রের প্রয়োজন-
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহ:
বিদেশে পড়তে যেতে চাইলে প্রথমেই দেখতে হবে আপনার সব প্রয়োজনীয় একাডেমিক কাগজপত্রসহ যাবতীয় ডকুমেন্টস ঠিকঠাক আছে নাকি। কোনো ডকুমেন্টস বাদ পড়ে গেলে তা বানিয়ে বা সেই সংক্রান্ত অফিস থেকে সংগ্রহ করে নিতে হবে৷ এক্ষেত্রে সকল কাগজপত্র ইংরেজি ভাষায় হতে হবে। ইদানিং বোর্ড অফিস বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই পরীক্ষা সনদপত্র এবং মার্কশিটগুলো ইংরেজিতে দেওয়া হয়। তবে যে সব কাগজপত্র ইংরেজিতে করা নেই সে সব ডকুমেন্টস অনুবাদ করিয়ে নিতে হবে।
এক্ষেত্রে দুইভাবে অনুবাদ করা যায়। বোর্ডের একটি নির্দিষ্ট ফরম পূরনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমান ফি বাংক ড্রাফটের মাধ্যমে জমা দিয়ে শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদপত্র ও নাম্বারপত্রের অনুবাদ কপি তোলা যায়। তবে পূর্বের মূলকপি বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে হবে। এটাই হচ্ছে সনদপত্র ইংরেজি ভাষায় অনুবাদের উত্তম পদ্ধতি। তবে একটু সময় বেশি লাগে বলে আপনি ইচ্ছে করলে নোটারি পাবলিক থেকেও অনুবাদ করাতে পারেন। এক্ষেত্রে পূর্বের মূলকপি এবং অনুবাদকৃত কপি একসাথে রাখতে হয়।
ছবি এবং প্রয়োজনীয় সকল ফটোকপি অবশ্যই সত্যায়িত করে নিতে হবে। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রানালয়ের একটি বিশেষ শাখা থেকে সকল কাগজ পত্রের মূলকপি দেখানো সাপেক্ষে বিনামূল্যে সত্যায়িত করা যায়। এছাড়া নোটারি পাবলিক থেকেও সত্যায়িত করা যায়।
আবেদন এবং ভর্তি প্রসেসিং:
নির্দিষ্ট দেশের বাছাইকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য প্রথমে ভর্তি তথ্য, প্রসপেক্টাস ও ভর্তি ফরম চেয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র কুরিয়ার করে, ফ্যাক্স বা ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানো যায়। তবে বর্তমান যুগের সাথে তাল মেলাতে ই-মেইলে পাঠানো ভাল। এতে করে জিনিসটা বেশি সুরক্ষিত থাকে। এখানে এরকম আবেদনপত্রের একটি নমুনা দেয়া হল-
The Americanos College,
Nicosia, Cyprus.
Sub: Application for Admission Materials.
I am Musharrat Abir, a student of Bangladesh. I have passed the H.S.C (equivalent to 12th grade education in USA) examination from Science group with good grades. Now I am keenly interested to study B.Sc at your famous college in the field of Computer Science and Engineering (CSE).
Please send me the admission form and other necessary materials as soon as possible.
Yours Sincerely,
Musharrat Abir.
এই নমুনা অনুযায়ী আবেদনপত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠালে তারা আপনার ঠিকানায় ভর্তির আবেদন ফর্ম ও প্রসপেকটাস পাঠিয়ে দিবে। এতে সাধারনত দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রে আপনার ই-মেইল আড্রেস দিলে সেখানেও আবেদন ফরম দিয়ে দেয়। আবার কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েব সাইটে আবেদন ফরম দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সেই ফাইলটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে। এরপর আবেদন ফরমটি প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে নির্ভুলভাবে পূরণ করে প্রসপেকটাসের নির্দেশনা অনুসারে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র ও আবেদন ফি/ব্যাংক ড্রাফট কোন আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিস বা রাষ্ট্রীয় ডাকের মাধ্যমে নির্দেশিত ঠিকানায় পাঠাতে হবে।
উল্লেখ্য যে, আবেদন ফি অফেরত যোগ্য। কোন প্রকার অসত্য তথ্য দিলে ভর্তি অনিশ্চিত বা পরবর্তীতে বাতিলের সম্ভাবনা থেকে এবং ভিসা পেতে সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া ফরম পূরণের সময় কাটাকাটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে ফরমটি ফটোকপি করে আগে ফটোকপি পূরণ করুন এবং এরপর সেটা দেখে মূল ফরমটি পূরণ করুন।
আবেদনপত্রের সাথে আরো যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন, সেগুলো হলো-
১. সকল একাডেমিক কাগজপত্র:
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকসহ বোর্ড পরীক্ষার সনদপত্র ও নম্বরপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি এবং সাবেক বা বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশপত্র।
২. ভাষাগত দক্ষতার প্রমানপত্র:
নির্বাচিত দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শর্তানুযায়ী যে ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে সে ভাষায় দক্ষতার প্রমান স্বরূপ ভাষা শিক্ষা কোর্সের সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষার ক্ষেত্রে যদি সে দেশে যেতে চান তবে প্রথমে ইংরেজিতে দক্ষতার প্রমাণ স্বরূপ IELTS/TOEFL এর সনদপত্রের সত্যায়িত কপি পাঠাতে হবে। তবে কোন কোন দেশের ক্ষেত্রে ভাষাগত দক্ষতার সনদ পত্র লাগে না।
৩. আর্থিক সামর্থের প্রমানপত্র:
যিনি আপনার বিদেশে পড়াশোনাকালীন যাবতীয় খরচ বহন করবেন তার অঙ্গীকারপত্র, আর্থিক সামর্থের প্রমানস্বরূপ ব্যাংক গ্যারান্টিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। নিজ খরচে পড়ার ক্ষেত্রে আর্থিক সামর্থের প্রমানস্বরূপ স্পন্সরের নামে দেশভেদে বিভিন্ন অংকের অর্থের ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট এবং অনেক ক্ষেত্রে এ সলভেন্সি সার্টিফিকেট এর বৈধতার পক্ষে বিগত ৬ মাসের ব্যাংক লেনদেন রিপোর্টের সত্যায়িত কপি পাঠাতে হয়।
৪. আবেদন ফি-এর ব্যাংক ড্রাফট:
দেশ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভেদে আবেদন ফি বাবদ ৭০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট পাঠাতে হয়।
ভর্তির অনুমতিপত্র পাওয়ার পর যা যা করণীয়:
ভর্তির অনুমতিপত্র বা অফার লেটার পাওয়ার পর সাধারণত অফার লেটারে বা প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত টিউশন ফি’র সমপরিমান অর্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক ড্রাফট করতে হবে যা ভিসা ইন্টারভিউয়ের সময় দূতাবাসে দেখাতে হয় এবং ভিসা পেলে পরবর্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমা দিয়ে দিতে হবে। কিন্তু টিউশন ফি বা এরকম বেশি পরিমান অর্থ ব্যাংক ড্রাফট করতে হলে ব্যাংকে নিজের নামে একটি স্টুডেন্ট ফাইল চালু করতে হবে এবং সেখান থেকেই বিদেশে পড়াশোনাকালীন সকল আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করা যাবে। আর ব্যাংকে এই স্টুডেন্ট ফাইল খুলতে যা যা লাগবে-
বিভিন্ন ব্যাংকের বৈদেশিক বিনিময় শাখাগুলোতে স্টুডেন্ট ফাইল খোলার জন্য আলাদা কেন্দ্র রয়েছে।
ভিসা সংগ্রহ:
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার পর তাদের পাঠানো অফার লেটার বা ভর্তির অনুমতিপত্রে উল্লেখিত ডেডলাইনের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানে পৌছাতেই হবে। অন্যথায় ভর্তি বাতিল হবে। তাই নির্দিষ্ট তারিখের পূর্বে আপনাকে সেদেশের ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও প্রায় সব নিয়মই এক রকম। কোন দেশে ভিসা পেতে হলে প্রথমে সে দেশের ভিসার আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই ভিসার আবেদনপত্র সরবরাহ করে থাকে। তা না হলে নির্দিষ্ট দূতাবাস থেকে ভিসার আবেদনপত্র সংগ্রহ করে সঠিক তথ্য দিয়ে নির্ভুল ভাবে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ দূতাবাসে জমা দিতে হবে এবং নির্দিষ্ট দিনে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। সাধারণত ভিসার জন্য যে সব কাগজপত্র প্রয়োজন, তা হলো-
- পুলিশ ছাড়পত্র: পুলিশ ছাড়পত্রের জন্য নিজ নিজ থানায় যোগাযোগ করে একটি নির্দিষ্ট ফি প্রদানের মাধ্যমে এটি সংগ্রহ করা যায়। তবে আপনার বিরুদ্ধে দেশ ও আইনবিরোধী কোন কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ থাকলে আপনি পুলিশ ছাড়পত্র পাবেন না।
এবার পালা উড়াল দেয়ার:
ভর্তি ও ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর প্রস্তুতি নিতে হবে বিদেশ যাত্রার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা ভিসার ডেডলাইন যাই হোক না কেন, নির্দিষ্ট সময়ের ৪-৫ দিন আগেই দেশত্যাগ করা ভাল। কারণ অনেক সময় আবহওয়াজনিত ও অন্যান্য কিছু কারণে যাত্রাপথে দেরি হতে পারে। সেক্ষেত্রে হাতে সময় না থাকলে বিপদ হতে পারে। তাছাড়াও কয়েকদিন আগে গেলে সেদেশের সাথে একটু একটু করে মানিয়ে নিতে সুবিধা হয়।
এয়ারপোর্টে যাওয়ার আগে আপনার পাসপোর্ট, ভিসা ইত্যাদি ঠিকঠাক আছে কী না, সেদিকে লক্ষ রাখবেন। বিদেশে অবস্থানের সময় এই সব দলিল আপনাকে অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। আপনি কোন পথে বিদেশে যেতে চান তা নির্ধারন করার সময়ও অনেকগুলো বিকল্প পথ ভাবার অবকাশ আছে। বিমানযোগে ভ্রমন করতে চাইলে মনে রাখবেন অনেক এয়ারলাইন্সে ছাত্রদের জন্য কিছু বাড়তি সুবিধা রয়েছে। অনেকক্ষেত্রে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ছাত্রদের জন্য ডিসকাউন্ট রেটে টিকিট দিয়ে থাকে। আপনি নির্ধারিত দিনের টিকিট যদি বেশ ক’মাস আগে করেন তবে এক্ষেত্রে অনেক এয়ারলাইন্সে আপনি ছাড় পাবেন।
বিদেশে গিয়ে কোথায় থাকবেন এবং আপনার আবাসনের বিষয়টি কেমন হবে তা সম্পর্কেও খোঁজখবর নিন। স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক ইস্যুগুলো সম্পর্কে জেনে নিন। সে দেশের আইন অনুযায়ী কি করা যাবে আর কী করা যাবে না তার সম্পর্কে ধারণা থাকাটা জরুরি। আর্থিক দিকগুলো সম্পর্কেও আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। পেমেন্ট করার সঠিক সময় কবে , আর্থিক অনুদান পেয়ে থাকলে সেই টাকা হাতে পাবার ব্যাপারে কী কী করণীয় ইত্যাদি বিষয়গুলো জেনে নিন। বিদেশে থাকার সময় কিভাবে আপনার পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখবেন-টেলিফোন, ডাক, ই-মেইল ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা পর্যাপ্ত কিনা বা তার জন্য আপনার কত খরচ হবে এ সংক্রান্ত তথ্যগুলো সংগ্রহ করুন। সর্বোপরি আপনি যে দেশে যাচ্ছেন তার ইতিহাস, রাজনীতি, আইনকানুন, রীতিনীতি প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে যতটুকু সম্ভব জেনে নিন।
সংশ্লিষ্ট দেশের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস:
যখন আপনি সংশ্লিষ্ট দেশের বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন, তখন আপনার সেদেশে আসার উদ্দেশ্য এবং সম্ভাব্য অবস্থানের সময় কাল সম্পর্কে ইমিগ্রেশন অফিসার জিজ্ঞাসা করবেন। ইমিগ্রেশন অফিসার আপনার পাসপোর্ট, ভিসা, স্বাস্থ্য ও প্রতিষেধক সনদ ইত্যাদি পরীক্ষা করবেন। তারপর তারা ঐ দেশে ঢোকার জন্য আপনাকে অনুমতি দেবেন। ঐ দেশের নিয়ম অনুসারে বা বিভিন্ন সময় অনুসারে ইমিগ্রেশনের আইনকানুন ও পদ্ধতি দ্রুত অথবা সময়সাপেক্ষ অথবা ক্লান্তিকর হতে পারে।
দীর্ঘ সময়ের বিমান ভ্রমণের পরে ইমিগ্রেশনের দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর পদ্ধতি আপনার কাছে বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পারে। কিন্ত ধৈর্য ধরে এবং নম্র ভাবে ইমিগ্রেশন অফিসারের সকল প্রশ্নের জবাব দিন। ইমিগ্রেশনের পর আসবে কাস্টমস। কী কী জিনিস আপনি বহন করছেন তার একটি তালিকা আপনাকে কাগজে লিখতে হতে পারে। এখানেও সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর ভদ্রভাবে দিন। কাস্টমস অফিসার প্রয়োজনে আপনার ব্যাগ চেক করতে পারেন। সুতরাং তার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিয়ে তাকে সন্তুষ্ট করুন।
আশা করি এইসব জিনিসগুলো ঠিকঠাকভাবে ফলো করলে আপনাদের বিদেশে যেয়ে খুব একটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না!
সূত্র:
https://www.prothomalo.com/amp/we-are/article/301831/%E0%A6%8F-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%93-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87
http://www.dip.gov.bd/site/page/c4baa785-0007-4a8e-b228-c6d49a35207a/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%A8-%E0%A6%AB%E0%A6%B0%E0%A6%AE