কাফনে মোড়া দুটি মানবশিশু।পৃথিবীকে আপন সুবাসে সুবাসিত করার আগেই অসূয়ার শিকার হয়ে ঝরে পড়া দুটি কলি। ফিলিস্তিনী মাটিতে মুসলিমবাগানে জন্ম নেয়া তাদের একমাত্র অপরাধ। খবরে প্রকাশ,গত ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ইসরাইলী বিমান হামলায় মা ও তিন বোনের সাথে শিশু দু'টি নিহত হয়।হতভাগা পিতা এখনো বেঁচে আছেন কিনা আমাদের জানা নেই। কিছুদিন আগে হামাস অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলে ঢুকতে সমর্থ হয়। তাদের হামলায় কিছু দখলদার ইহুদি মারা যায় (যদিও তাদের মতে শত শত বেসামরিক নাগরিক )। এরই জের ধরে দখলদার ইহুদিরা চরম প্রতিশোধের ঘোষণা দিয়েছে।আমেরিকা রণতরী পাঠাচ্ছে। গাজায় বিদ্যুৎ/খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বোমা ফেলা হচ্ছে অবিরাম। ইতিহাস সংক্ষিপ্ত নয়। ইতিহাসের পাতায় তাকালে হামাসের হামলার পক্ষে লাখ লাখ পৃষ্ঠা অনায়াসে দাঁড় করানো যায়; ইতিহাস বলে ইসরাইলের পুরো সমাজ ও জনগোষ্ঠী জবরদখলকারী...
মাঝে মাসে মনে হয়। যে মানুষটা আমার বাবাকে হত্যা করেছে, আমাদের- বসতি-ভিটা গুড়িয়ে দিয়েছে। আমাকে অনিশ্চিৎ এক জীবনের দিকে ঠেঁলে দিয়েছে, তার সাথে যদি লড়ায়ে নামতে পারতাম!
গত ৭৫ বছর ধরে গনহত্যা চালাচ্ছে সেটেলার কলোনিয়ান ইহুদিরা।এর মাঝে সংখ্যাগুরু ফিলিস্তিনিদের পৈত্রিক ভিটেমাটি থেকে বহিষ্কার, ভৌগোলিক সংহতি লঙ্ঘন, ধর্মীয় পবিত্র স্থানসমুহের অমর্যাদা এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন কতবার করেছে তার কোন হিসাব নই।
অনেকক্ষণ ধরে হাঁটছি।সম্পূর্ণ অচেনা পথে এভাবে একা কতক্ষণ হাঁটা যায়! তবুও হাঁটছি।যেতে হবে বহুদূর,সেই অচিনপুর। আকাশের লাল আবরণ উধাও হয়ে যাচ্ছে।আকাশ ও পৃথিবীর মাঝে শরতের মেঘের মত ছড়িয়ে থাকা অন্ধকার গাঢ় হচ্ছে ক্রমশ।এতক্ষণে রাত বুঝে গেছে তার নেমে আসার সময় হয়েছে, হাঁস মুরগি ও নীড়ে ফেরা পাখিদের শব্দে চুপচাপ বসেছিলো সে আকাশের উপারে।বহু আগেই নিভে গেছে আগুন ঝরানো সূর্যের গোপন তেজ টুকু।এ অবস্থায় ক্ষেতের আইল ধরে আর কতটা হাঁটতে হবে কে জানে।অবশ্য হাঁটার কথা ছিলো না।কোনো ভাবেই না।কথা ছিলো,শুত্রাপুর স্টেশনে নেমে একটা ভ্যান নেবো এবং পঁয়তাল্লিশ মিনিটে মামার বাড়ি।ভ্যান নিয়েছিলাম ঠিকই,কিছুদূর গিয়ে চালক বললো,নামেন আর যাওয়া যাবে না।